কলকাতা: বেআইনি নিয়োগের উল্লেখ করে, ৬ গণিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্ট যে ৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল, তার মধ্যে তিন শিক্ষকই তাঁদের আইনজীবী মারফত দাবি করলেন, তাঁদের নামে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তাঁরা কেউ-ই চাকরি নেননি। ফলে, চাকরি বাতিলের প্রশ্নও ওঠে না। তিন গণিত শিক্ষকের এহেন দাবিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।
সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে ৬ গণিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। অভিযোগ ছিল, নিয়মবহির্ভূত ভাবে নবম-দশম শ্রেণির গণিত শিক্ষক পদে তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে এ দিন এক আবেদন তিন শিক্ষক দাবি করেন, তাঁরা কেউ-ই গণিতের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে চাকরি করেন না। দাবি অনুযায়ী, তাঁদের একজন পার্শ্বশিক্ষক, একজন পার্ট টাইম টিচার এবং আর একজন বর্তমানে বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। তাই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে চাকরি বাতিলের প্রশ্ন কী করে ওঠে? এ বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপও তাঁরা দাবি করেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বিমান বিপর্যয় নিয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
যদিও মুর্শিদাবাদ জেলার ডিআই পালটা দাবি করেন, এ দিন তিন আবেদনকারী শিক্ষকই নিয়োগপত্র পেয়েছেন। ডিআইয়ের এই দাবিতে আদালতকক্ষে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ধন্দ থেকেই তিন নিয়োগপ্রার্থীকে হলফনামা জমা দিতে বলল আদালত। নিয়োগপত্র হাতে পেয়েও তাঁরা তিন জন যে চাকরি গ্রহণ করেননি, তা হলফনামায় বিশদ ভাবে উল্লেখ করতে হবে। এ জন্য সাত দিন সময় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।