কলকাতা: এটিএম জালিয়াতির ক্ষেত্রে নিজেদের ‘মোডাস অপারেন্ডি’ বা অপরাধের ধরন রাতারাতি বদলে ফেলল দেশের কুখ্যাত ব্যাংক জালিয়াতরা। অপরাধের ধরন বদলে এবার তারা জালিয়াতির হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিল কোভিড ১৯-এর ডবল ভ্যাকসিন এবং ফ্রি বুস্টার ডোজকে। ফ্রি বুস্টার ডোজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা। মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরের বহু মানুষের কাছে এই ধরনের ফোন আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জালিয়াতদের ফোনে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বহু মানুষ। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছে পুলিস।
এটিএম জালিয়াতির ক্ষেত্রে সারাদেশের কাছে কুখ্যাত হয়ে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাং। এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়ার মিথ্যে খবর দিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নাম করে বহু মানুষকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। কলকাতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শহরের পুলিস এই দুষ্কৃতীদের একাধিকবার গ্রেফতার করলেও তাদের দমানো যায়নি। এই ধরনের অপরাধ ক্রমশ বেড়েছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন সময়ে পুলিস সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার চালিয়েছে। সেই প্রচার কিছুটা হলেও কাজে এসেছে। সতর্ক হয়েছে মানুষ। ওই ধরনের ফোনে সাড়া দিচ্ছেন না অনেকেই। তাহলে কি কুখ্যাত জামতাড়া ব্যাংক জালিয়াতরা নিজেদের মোডাস অপারেন্ডি এবার বদলে ফেলে অপরাধের নতুন পথ অবলম্বন করেছে? তাহলে কি তারা এবার এটিএম জালিয়াতি ছেড়ে বুস্টার ডোজ নিয়ে জালিয়াতির নতুন ধান্দা পেতেছে? উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: Rain: কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায় মুষল ধারে বৃষ্টি, ভোগান্তিতে অফিস ফেরৎ যাত্রীরা
সম্প্রতি মুম্বইয়ে এই ধরনের অপরাধের জালে পা দিয়ে টাকা খোয়ানোর খবর মিলছে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকরা। আচমকাই তাদের ফোন করে ফ্রি বুস্টার ডোজের অফার দেওয়া হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন করে নাম নথিভুক্ত করলেই একটি ওটিপি আসবে মোবাইলে। ওটিপি দিলেই ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতরা।
শুধু মুম্বই নয়, এই ধরনের ঘটনার বেশ কিছু অভিযোগ আসতে শুরু করেছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতর সিআইডির সাইবার সেল এবং লালবাজারের সাইবার থানাতেও। সাইবারের গোয়েন্দা কর্তারা অপরাধের ধরণ অনুমান করছেন, এই কুকর্মের পিছনে রয়েছে কুখ্যাত জামতাড়ার ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা। তদন্ত জারি রেখেছে লালবাজারের সাইবার সেল।