মেদিনীপুর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রামায়ণের হনুমানের সঙ্গে তুলনা করলেন দিলীপ ঘোষ৷ হনুমানের আনা সঞ্জীবনী বুটির জন্য লক্ষ্ণণ যেমন প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন, তেমনই ভ্যাকসিন দিয়ে দেশবাসীকে করোনার ছোবল থেকে বাঁচিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ শনিবার মেদিনীপুর সন্ধ্যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মোদি বন্দনায় মাতলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি৷
গোটা বিশ্বের মত প্রায় দু’বছর ধরে অতিমারির সঙ্গে লড়াই করছে ভারত৷ মাস্ক পরা এবং দো গজ কী দুরি বজায় রাখাই ছিল প্রথম দিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্র৷ কিন্তু ভ্যাকসিন আবিস্কারের পর সেটাই হয়ে ওঠে প্রধান হাতিয়ার৷ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য ভারতে অনুমোদন পেয়েছে একাধিক ভ্যাকসিন৷ ইতিমধ্যে দেশের একশো কোটি মানুষের টিকাকরণও হয়ে গিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সময়মত সিদ্ধান্তের জন্য দেশে করোনায় মৃত্যুর হার বাইরের দেশের তুলনায় অনেক কম৷ এর পুরো কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেন খড়গপুরের সাংসদ৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশে বহু মানুষ করোনায় মারা গিয়েছে৷ সেই তুলনায় ভারতবর্ষে মৃত্যুর হার অনেক কম৷ বহু মানুষ সুস্থ হয়েছেন৷’
আরও পড়ুন: রাজনীতির দাবা খেলায় দিলীপ সামান্য ঘুঁটি, বাংলায় বিজেপির ক্রমশ আত্মহত্যার দিকে চলেছে, বিস্ফোরক তথাগত
এর পরই হনুমানের সঙ্গে মোদির তুলনা টানেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি৷ কেরানীতলার ওই জগদ্ধাত্রী পুজোর বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অনেক বড় বড় দেশ স্বীকার করেছে মোদিজি না থাকলে আমরা বাঁচতে পারতাম না৷ হনুমানজি যেমন বিশল্যকরণী নিয়ে এসে লক্ষ্ণণকে বাঁচিয়েছিলেন৷ মোদিজি তেমন আমাদের দেশে ভ্যাকসিন এনে বাঁচিয়েছেন৷ সঙ্কটের সময় ভারত বিশ্বের সামনে দাঁড়ায়, এবারও দাঁড়িয়েছে৷’
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ভারত৷ ঠিক তেমনি বিদেশি দ্রব্যের বিরুদ্ধেও লড়াই সংঘবদ্ধ হয়েছে দেশবাসী৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘চীনা দ্রব্য বয়কট করায় পুজোর সময় এদেশে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে৷ গত ১০ বছরে আমাদের দেশে এই রকম কেনাবেচা হয়নি। মানুষের আর্থিক অবস্থা ঘুরেছে বলেই তো এত টাকা কেনাবেচা হয়েছে৷ উল্টোদিকে চীনের ৫০ হাজার কোটি টাকার জিনিসপত্র বিক্রি হয়নি৷ যেটা আমাদের দেশ থেকে সেখানে যেত৷’
আরও পড়ুন: পাচারের আগে ১৪টি উট উদ্ধার দক্ষিণ দিনাজপুরে
দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দিরে হামলা ও খুনের ঘটনার নিন্দা করেন দিলীপ ঘোষ৷ সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি৷ বলেন, ‘এখানে ইস্কনের রথ বের হলে দিদিমণি দড়ি ধরে টানেন৷ ছবি তোলেন৷ বাংলাদেশের সাধু-সন্ন্যাসী খুন হলে একটা কথা বলেন না৷ বাংলাদেশিদের হয়ে কথা বলেন৷ সেখানকার গরু পাচারকারীরা বিএসএফের গুলিতে মারা গেলে বিএসএফের সমালোচনা করেন৷’