ঢাকা: উৎসবের আবহে বাংলাদেশের মন্দিরে এবং হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় ঘরে ও বাইরে প্রবলভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছে শেখ হাসিনা সরকার৷ হামলার নিন্দা করেছে আমেরিকাও৷ দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিয়ে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে মরিয়া বাংলাদেশ সরকার৷ তাই মঙ্গলবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ধর্মীয় রঙ না দেখে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তি দিতেই হবে৷
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ধস ও বৃষ্টিতে কেদারনাথে আটকে বাঙালি পর্যটকরা
মঙ্গলবার সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ আলোচনার বেশিরভাগ অংশ জুড়েই ছিল সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনা৷ পরে মন্ত্রিসভার সচিব কে আনওয়ারুল খানকে উদ্ধৃত করে ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছে, বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আদাদুজ্জমান খানকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যারা দেশে গোলমাল পাকানো এবং ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে৷ এর পাশাপাশি, সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট দেখে সেগুলি চোখ বুজে সকলকে বিশ্বাস করতে বারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷
সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্টের জেরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা আরও বেড়ে গিয়েছে৷ কোরানকে অসম্মান করা হয়েছে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুজোর সময় কুমিল্লা জেলা ও আশেপাশের এলাকার একাধিক মন্দির এবং মণ্ডপে ভাঙচুর করা হয়৷ বাদ যায়নি ইসকনের মন্দিরও৷ হিংসার ঘটনায় নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছেন৷ পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেও ব্যর্থ হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার৷ খবর মেলে, রবিবার রাতে অন্তত ৬৬টি হিন্দু বাড়ি তছনছ করা হয়৷ ২০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: বিপদসীমায় জল তিস্তায় সতর্কতা, ডুবল দশ নম্বর জাতীয় সড়ক
এই পরিস্থিতিতে সরকার যে হিন্দুদের পাশে রয়েছে তা বোঝাতে মঙ্গলবার শাসক দল আওয়ামি লিগের তরফে ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করা হয়৷ ওই মিছিল থেকে দেশে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়৷ সংখ্যালঘু হিন্দুদের উদ্দেশে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদকের অভয়বাণী, ‘হিন্দু ভাই-বোনেরা তোমরা ভয় পেয়ো না৷ শেখ হাসিনার সরকার সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার৷’ সত্যিই কী শেখ হাসিনা সরকার হিন্দুদের নিয়ে ভাবিত? এর পরেও কেন হামলার শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকেই৷