মুম্বই: এক যুগ পরে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ (CWC 2023)। ভারতীয় উপমহাদেশের পিচ মানেই রানের ফোয়ারা, আসন্ন বিশ্বকাপেও তেমনটাই হতে চলেছে, এ নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। তাঁর মতে, এবার প্রতি ম্যাচেই ৩০০ রান হতে চলেছে, এমনকী ভারত (India) অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মতো দল ৪০০-৪৫০ তুলে দিতে পারে বলে তাঁর মত।
৫ অক্টোবর আমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) শুরু হবে ৫০ ওভারের মহাযুদ্ধ। ধরে নেওয়া যায়, অধিকাংশ পিচি হবে পাটা, পেসাররা খুব সামান্যই সাহায্য পাবেন, কিছুটা সহায়তা পেতে পারেন স্পিনাররা। এক ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমের তরফে গাভাসকরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ২০২৩ বিশ্বকাপে হাই-স্কোরিং ম্যাচ হবে বলে তিনি মনে করেন কি না।
আরও পড়ুন: SAFF CUP| India vs Lebanon | সাফ কাপের সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি লেবানন
উত্তরে সানি বলেন, “যদি পাটা পিচ হয়, আমার মনে হয় তা হলে প্রতি ম্যাচেই ৩০০ রান উঠবে। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো দল থাকবে যারা ৪০০-৪৫০ রানও করে দিতে পারে। তবে আমার মনে হয় ৩০০ রান অন্তত হবেই।”
কারণ হিসেবে তিনি বললেন, “এর দুটো কারণ। পিচ ভালো, বল পড়ে সুন্দরভাবে ব্যাটে আসবে। বাউন্ডারি ছোট হয়ে গিয়েছে, মিসহিটেও ছয় হয়ে যাবে। তা ছাড়াও আধুনিক যুগের ক্রিকেটারদের শক্তি আছে, কারণ তারা জিম করে আর এখনকার ব্যাট তৈরির প্রযুক্তির বলে ব্যাটে প্রচুর জোর রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এর আগের বিশ্বকাপেও ৪০০-র বেশি রান উঠেছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিরুদ্ধে ৪১৭ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বারমুডার বিরুদ্ধে ৪১১ রান তোলে ভারত। তবে শুধু ভারত বা অস্ট্রেলিয়া নয়, পাকিস্তান (Pakistan) ইংল্যান্ডেরও (England) যা ব্যাটিং শক্তি তাতে ৪০০ হতেই পারে। পাকিস্তানের বাবর আজম, ফখর জামান, ইংল্যান্ডের জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টোরা নিজেদের প্রতিপক্ষ বোলিংকে চূর্ণ করতে পারেন। সুতরাং আশা করাই যায়, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রানের গঙ্গা বইতে চলেছে ভারতের ১০টি শহরে।