টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই রদ বদল আসছে ভারতীয় দলে৷ সেটা কোচ থেকে অধিনায়ক দুটো পদেই৷ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে চুক্তি শেষ হচ্ছে রবি শাস্ত্রীর৷ আবার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ২০ বিশ্বের নেতৃত্ব ছাড়বেন বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি৷
রবি শাস্ত্রী এবং বিরাট কোহলি, এদের পরিবর্ত কে হবেন তা নিয়ে এখন থেকেই হিসেব কষা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বিরাট কোহলির জায়গায় টি টোয়েন্টিতে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার আসনটা অনেকটাই পাকা রোহিত শর্মার৷
কিন্তু কোচ কে হবেন৷ বিসিসিআইয়ের অন্দরে কান পাতলে পরিষ্কার কোহলি, রোহিতদের কোচের জন্য বিদেশি না পসন্দ বোর্ড কর্তাদের৷ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাে মেন্টর হিসাবে দেখা যাবে ধোনিকে৷ সফল হলে তিনিই কী দায়িত্ব সামলাবেন? প্রশ্নটা উঁকি মারছে সর্বত্র৷
কিন্তু ধোনি নিজেও খুব একটা এত তাড়াতাড়ি ভারতীয় দলের কোচ হতে চাইছেন না৷ কপিল দেবও বলেছেন, ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর র অন্তত তিন-চার বছর বিরতি নেওয়া উচিৎ একজন ক্রিকেটারের৷
সব ধরণের ক্রিকেটেই ধোনির সাফল্য আকাশছোঁয়া৷ বিশেষকরে ২০-২০-র লড়াইয়ে ধোনির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই তাঁকে আসন্ন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেন্টর হিসাবে বেছে নিয়েছেন বোর্ড কর্তারা৷ যেটায় আপাতত সম্মতি জানিয়েছেন ধোনি নিজেও৷
কিন্তু তারপর৷ সেই পরের কথা চিন্তা করেই রবি শাস্ত্রী পরবর্তী ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে উঠে এসেছে বীরেন্দ্র সেওয়াগ এবং ভিভিএস লক্ষ্ণনের নাম৷ ভারতীয় ক্রিকেটে এই দুই তারকার অবদান নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না৷
কিন্তু এই দুজনের মধ্যে এগিয়ে কে? দক্ষিণি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে একটা বাধা ভাষা সমস্যা৷ এটা আগেও ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার একটা অন্তরায় ছিল৷ ভাষা সমস্যার জন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় কোথাও খামতি থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
কিন্তু এক্ষেত্রে ভিভিএস লক্ষ্মণ অন্যান্যদের পিছনে ফেলে দিয়েছেন৷ কারণ তৎকালীন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধে বাংলার দীর্ঘদিন কোচিং করিয়েছেন তিনি৷ এখনও করাচ্ছেন৷ নিয়মিত কোচিং না করালেও ভাষায় খুব একটা সমস্যা হয়নি৷
অন্যদিকে বীরেন্দ্র সেওয়াগ বরাবরই বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয়৷ তাঁর তো ভাষা নিয়ে সমস্যা নেইই, ব্যাটের মতোই মুখে কথা বলেন৷ এই দুজনের দৌড়ে শেষ ল্যাপে কে এগিয়ে যান, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে৷