ইয়র্কশায়ার: বৃহস্পতিবার থেকে ইয়র্কশায়ার কাউন্টির (Yorkshire County) হেডিংলি (Headingly) মাঠে শুরু হচ্ছে অ্যাশেজ সিরিজের (Ashes Series) তৃতীয় টেস্ট। সিরিজে ইতিমধ্যেই ২-০ এগিয়ে গিয়েছে সফরকারী দল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। হোম টিম ইংল্যান্ডকে (England) এখন পরপর তিন টেস্ট জিততে হবে, যদি সিরিজ জিততে হয়। এমনিতেই জনি বেয়ারস্টোর (Jonny Bairstow) আউট বিতর্কে উত্তপ্ত ইংল্যান্ড, তার উপর উত্তেজনা ছড়াল হেডিংলি টেস্টের প্রথম একাদশ নিয়ে। লর্ডসে ভালো পারফর্ম্যান্স করা পেসার জশ টঙ্গকে (Josh Toungue) বসানোর সিদ্ধান্ত তুমু সমালোচিত হচ্ছে।
বুধবার প্রথমে একাদশ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। দলে বেশ কিছু বদল চোখে পড়ছে। চোট পাওয়া অলি পোপের (Olie Pope) জায়গায় দলে ঢুকেছেন মইন আলি (Moeen Ali)। পোপের জায়গায় তিন নম্বরে ব্যাট করবেন হ্যারি ব্রুক। চারে জো রুট (Joe Root), পাঁচে বেয়ারস্টো এবং ছয়ে বেন স্টোকস (Ben Stokes)। সাত এবং আটে যথাক্রমে মইন এবং ক্রিস ওকস (Chris Wokes)। এরপর পরপর মার্ক উড (Mark Wood), অলি রবিনসন (Olie Robinson) এবং স্টুয়ার্ট ব্রড (Stuart Broad)।
আরও পড়ুন: জয় দিয়েই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ শুরু করল মোহনবাগান সুপারজায়েন্ট
ইংলিশ সমর্থকদের আপত্তি একটা জায়গায়, কেন বাদ দেওয়া হল টঙ্গকে, তাও আবার অলি রবিনসনকে খেলিয়ে। লর্ডস টেস্টে দুজনেই দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচটি করে উইকেট নিয়েছিলেন। তবে এটা সত্যি রবিনসন, অ্যান্ডারসনরা (James Anderson) যে জিনিসটার অভাবে ভুগছিলেন সেই গতি সবথেকে বেশি ছিল টঙ্গের। তাছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতেও দক্ষতা দেখিয়েছিলেন তিনি। এসব কারণেই সবাই রবিনসনকে দলে রেখে টঙ্গকে বসানোর বিরোধিতা করছেন।
View this post on Instagram
তবে এমনও হতে পারে চতুর্থ টেস্টে খেলানো হবে তাঁকে, এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হল। পাঁচ টেস্টের দীর্ঘ সিরিজে পেসারদের তরতাজা রাখতে এই কৌশল অনেকদিন যাবত ব্যবহার করছে ইংল্যান্ড। এমনকী পরের ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ব্রডকে বসিয়ে অ্যান্ডারসনকে ফেরানো হতে পারে।
একথা স্বীকার করতেই হবে, আগের দুই টেস্টের থেকে অনেক বেশি ভারসাম্য রয়েছে এই একাদশে। প্রথমত, অস্ট্রেলিয়ার যেমন প্যাট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্ক ব্যাট হাতে অনেকটা ভরসা দেন ইংল্যান্ডের তেমন কেউ ছিল না। বেয়ারস্টো আউট হওয়া মানেই খেল খতম। এবার মইন আলি তো আছেনই, আনা হয়েছে ক্রিস ওকসকে। ওকস কিন্তু একাই ইংল্যান্ডের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন।
আর একটা ভালো দিক হল, এই একাদশে পেস বোলারদের গতি বাড়বে। মার্ক উড এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে দ্রুতগতির বোলারদের মধ্যে একজন। ওকসের গতিও ব্রড-অ্যান্ডারসনের থেকে বেশি। লর্ডসে তাঁদের সুইং বোলিং গতির অভাবে খেলে দিচ্ছিলেন স্টিভ স্মিথরা। অন্যদিকে স্টার্ক, কামিন্সদের সুইংয়ের সঙ্গে গতি থাকায় বিপদে পড়েছিলেন রুটরা। এবার কিন্তু সমানে সমানে লড়াই হবে।