কলকাতা: ডার্বি (Kolkata Derby) হারের তিন দিন পরেই এএফসি কাপ (AFC Cup) অভিযানে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস (Mohun Bagan Super Giants)। হুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferando) দলের প্রতিপক্ষ নেপালের (Nepal) মাছিন্দ্রা এফসি (Machhindra FC)। খাতায় কলমে অনেক বেশি শক্তিশালী সঞ্জীব গোয়েঙ্কার (Sanjiv Goenka) দল। ১২ অগাস্টও তারাই ছিল ফেভারিট, কিন্তু বাজিমাত করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে ফেরান্দো অবশ্য বলছেন, ডার্বি অতীত। বড় ম্যাচের ভূত এএফসিতে তাড়া করবে না।
বাগান কোচের কথা শুনে যা বোঝা গেল, কোটি কোটি টাকার দল ফর্মের চূড়ায় উঠতে আরও সময় নেবে। আরও অনুশীলন, আরও ম্যাচ খেললে তবেই খেলা খুলবে। ডার্বিতে শেষ ২০ মিনিট খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা তারকা ফরোয়ার্ড জেসন কামিংস (Jason Cummings) কিন্তু একেবারেই দাগ কাটতে পারেননি। এক্ষেত্রের ফেরান্দোর একই যুক্তি। তিনি জানান, কামিংস সবে দিন দশেক হল এসেছেন। নতুন দেশ, নতুন পরিবেশ, নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: কাউন্টি ক্রিকেটে স্বপ্নের ফর্মে পৃথ্বী শ, ডাবল সেঞ্চুরির পরের ম্যাচেই ৭৬ বলে ১২৫!
কোচের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। তাঁর এসব নতুন সংস্কৃতিতে মানিয়ে নেওয়ার বালাই নেই। তবে এফসি গোয়া থেকে মোহনবাগানে তাঁর স্বপ্ন ছিল বলে জানালেন। আনোয়ারের স্বপ্ন সফল হয়েছে, এবার তাঁর কাঁধ্ব দায়িত্ব কোটি কোটি সমর্থকের স্বপ্নকে সফল করা, এএফসি কাপের মূল প্রতিযোগিতায় ঢুকে পড়া।
নেপালের দল কিন্তু কলকাতায় স্রেফ পর্যটনে আসেনি। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের থেকে পিছনে থাকায় বাধ্যতামূলক এদেশে খেলতে হচ্ছে তাদের। বিপুল দর্শক সমর্থনের বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের। তাতে ঘাবড়াচ্ছেন না মাছিন্দ্রার হেড কোচ কিশোর কে সি। তিনি বলে দিলেন, মোহনবাগান বড় দল হলেও আমরা জেতার জন্যই খেলব। ডার্বি ম্যাচ নিশ্চয়ই দেখেছেন কিশোর, চোখে পড়েছে ফাঁকফোকর। চার বিদেশি এবং ১০ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন তিনি।