লন্ডন: আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। ৭ জুন থেকে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার বহু প্রতীক্ষিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল (WTC Final)। এর আগের বার নিউজিল্যান্ডের (New Zealand)বিরুদ্ধে ফাইনাল ভারত খেলেছিল সাউদাম্পটন মাঠে (Southampton)। পেস সহায়ক সেই উইকেটে কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টদের দাপটে হেরে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু এবার খেলা ওভালের (The Oval) মাঠে, যেখানকার পিচ বরাবরই ব্যাটারদের অনুকূল। এমনকী ম্যাচ যত গড়ায় তত বল ঘোরে। এ ধরনের কন্ডিশন অবশ্যই রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) পছন্দের।
ভারতীয় শিবিরের জন্য আরও একটা সুখবর আছে। তা হল, ওভালে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) পারফর্ম্যান্স মোটেই ভালো নয়। পরিসংখ্যান দিলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বিষয়টা। সেই ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলেছিল অজিরা। সেই থেকে আজ অবধি ওভালে মোট ৩৮টা টেস্ট খেলেছে তারা, জিতেছে মাত্র সাতটায়। আর শেষ ৫০ বছরে মাত্র দুটো টেস্ট জিতেছে। সবমিলিয়ে জয়ের হার মাত্র ১৮.৪২ শতাংশ। ইংল্যান্ডের অন্যান্য মাঠে কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড অনেক ভালো।
অন্যদিকে লর্ডসে ২৯টা টেস্ট খেলে ১৭টা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, জয়ের হার ৪৩.৫৯ শতাংশ। এমনকী সাফল্যের নিরিখে ইংল্যান্ডও লর্ডসের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার থেকে পিছিয়ে, পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও। হেডিংলির মাঠে অজিদের জয়ের হার ৩৪.৬২ শতাংশ, ট্রেন্টব্রিজে ৩০.৪৩ শতাংশ, ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২৯.০৩ শতাংশ এবং এজবাস্টনে ২৬.৬৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Wrestler Protest Tendulkar | কুস্তিগিরদের আন্দোলন নিয়ে নিশ্চুপ, পোস্টার পড়ল শচীনের বাড়ির সামনে
ওভালে ভারতের রেকর্ডও খুব একটা ভালো নয়। এখানে জয় এসেছে মাত্র দুটি ম্যাচে, ড্র সাতটা এবং পাঁচটায় হার। তবে ২০২১ সালে শেষবার এই মাঠে রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ডকে ১৫৭ রানে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেদিন ওই মাঠে ৪০ বছর পর জিতেছিল ভারত।
এদিকে ওভালের মাঠে ভারতীয় কন্ডিশনের সঙ্গে মিল থাকতে পারে বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ (Steve Smith)। ভারতের মতোই স্পিন সহায়ক পিচ হতে পারে। ইংল্যান্ড বললেই যেমন সুইং বোলিংয়ের উপযুক্ত পরিবেশের কথা মনে আসে, ওভাল তার থেকে একদম আলাদা। দেশটার মধ্যে এই মাঠ সবথেকে ব্যাটিং সহায়ক এবং পরের দিকে যথেষ্ট স্পিন হয়। এরকম উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) ভারতের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন।
স্মিথ বলছেন, ওভালের পিচে কখনও কখনও বল ঘোরে, বিশেষ করে ম্যাচ যত এগোয়। তাই ভারতের মতো একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারি ওভালে। এরপর অবশ্য স্মিথ বলেন, কিন্তু ওভাল ক্রিকেট খেলার জন্য দারুণ জায়গা। বিদ্যুৎগতির আউটফিল্ড, বিশাল স্কোয়্যার অঞ্চল তাই ব্যাট করার জন্য সুন্দর জায়গা। ইংলিশ মাটি অনুযায়ী ঠিকঠাক গতি এবং বাউন্স আছে। একটা দুর্দান্ত ম্যাচ হতে চলেছে।