কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাজস্থানের মরু শহর জয়সলমীরকে পিছনে ফেলে তাপমাত্রার পারদ চড়েছে বাঁকুড়ায়। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। প্রবল গরমে কঠিন পরিস্থিতি লালমাটির জেলায়। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির অপেক্ষা করছে সকলেই। এরই মধ্যে আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এপ্রিল মাসের শেষ কয়েক দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং আরও বাড়বে তাপমাত্রা।
দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার মতো গ্রীষ্মের দাবদাহে জ্বলছে বীরভূমও। মঙ্গলবার বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা জুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। চূড়ান্ত গরমে রাস্তাঘাট ফাঁকা। ঘরের বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
পুরুলিয়াতেও হাঁসফাঁস করা গরমে ওষ্ঠাগত প্রাণ। এদিনও পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে রয়েছে। বাইরে বেরোলেই সারা শরীর যেন জ্বলে যাচ্ছে। ফুটিফাটা গরমে দমবন্ধ অবস্থা। তাপপ্রবাহে নাভিশ্বাস উঠছে স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: Child Vaccine: ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের কোভ্যাকসিনে ছাড়পত্র ড্রাগ কন্ট্রোলারের
এই পরিস্থিতিতে হাওয়া অফিস বলছে, অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে এখনই রেহাই নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি রয়েছে। আরও বাড়বে তাপমাত্রা। তবে মে মাসে আশার খবর শোনাতে পারে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মে মাসের শুরুতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আগামী সোমবার থেকেই আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে গলদঘর্ম অবস্থা হলেও উত্তরবঙ্গে চলছে স্বস্তির বৃষ্টি। মঙ্গলবারও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বুধবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। সপ্তাহ শেষে নদীয়া, মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।