কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সোমবার থেকেই জেলা জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। আর এই অকাল বৃষ্টির কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসুলডাঙ্গা-সহ একাধিক এলাকার কৃষকেরা। বৃষ্টির কারণে পাকা ধানে মই পড়েছে কৃষকদের। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসের পরই মাঠের ধান কাটা শুরু করে দিয়েছিল কৃষকরা। কিন্তু এখনও বহু মাঠের ধান কটা বাকি রয়েছে।
আর এই বৃষ্টির ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেই সমস্ত ফসল। এছাড়াও মগরাহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে টমেটো ও বেগুনের ক্ষেত রয়েছে। যা এখনও পরিপক্ক না হওয়ায় তুলে নেওয়ার অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টিতে সেই টমেটো ও বেগুন চাষেরও দফারফা অবস্থা। হাত থেকে জমির ফসল বাঁচাতে তড়িঘড়ি জমির ফসল তোলার কাজে লেগে পরেছে কৃষকরা।
আরও পড়ুন: Shaheen Bagh: শাহিনবাগ নিয়ে হস্তক্ষেপ নয়, সিপিএমের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে
অন্যদিকে, বৃষ্টি হতেই বেড়েছে নদীর জলস্তর, দুশ্চিন্তার কালো মেঘ হিঙ্গলগঞ্জে। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা, সামশেরনগর, দুলদুলি, যোগেশগঞ্জ, ভান্ডারখালি, বায়লানি ও বিশপুরে অশনির জেরে শুরু হয় বৃষ্টি-সহ ঝোড়ো হওয়া। পাশাপাশি রূপমারি ও সাহেবখালিতে চলছে অশনির সতর্কতায় মাইকিং প্রচার। কনকনগর ও মামুদপুর এলাকায় বিদ্যুতের গাড়ি থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। রায়মঙ্গল, কালিন্দী, গৌড়েশ্বর, গোমতী ও কলাগাছী নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা।
শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে অশনি। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় গতি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই অভিমুখেই এগোতে থাকবে অশনি।
এর জেরে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বুধ ও বৃহস্পতি, এই দু’দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে। বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।