দ্বারকাধীশ মন্দির: গুজরাট মথুরায় জন্ম আর বৃন্দাবনে বড়ো হয়ে ওঠা। আবার মথুরায় গিয়ে কংস বধ। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চলে গিয়েছিলেন দ্বারকায়। সেখানে তিনি প্রজাপালন করেছিলেন রাজা হিসাবে। তিনি ‘দ্বারকাধীশ’ বা ‘দ্বারকার রাজা’ নামে পরিচিত ছিলেন। সেই দ্বারকাতেই রয়েছে এই দ্বারকাধীশ মন্দির। এটি ‘জগত মন্দির’ বা ‘নিজ মন্দির’ নামেও সুপরিচিত।
নিধিবন: এটি কোনও মন্দির নয় বৃন্দাবনে অবস্থিত একটি পবিত্র বন। এখানে রয়েছে অসংখ্য নিধি অর্থাৎ তুলসী গাছ। কথিত আছে তুলসী ছিলেন কৃষ্ণের ভক্ত। সেই তুলসীবনে প্রতিরাতে রাধারানী আর গোপিনী সখীদের নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ রাসলীলা করতে আসতেন। এখনও নাকি প্রতি রাতে তাঁরা এখানে বিরাজ করেন। তাই প্রতিদিনই রাত নামলে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ এই নিধিবনে।
বাঁকে বিহারী মন্দির: বৃন্দাবন উত্তরপ্রদেশের মথুরায় অবস্থিত এই মন্দির। এখানে শ্রীকৃষ্ণের ত্রিভঙ্গ রূপ পূজিত হয়। দেবপারা যুগে স্বামী হরিদাস এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মন্দিরটির স্থাপত্য কর্ম রাজস্থানী ধরনের। তবে নতুন মন্দিরটি ১৮৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মন্দিরটির উচ্চতা ৫৫৭ ফুট।
আরও পড়ুন: Parliament-Manipur | লজ্জায় জাতির মাথা হেঁট, মণিপুর নিয়ে মুখ খুললেন মোদি
কেশব দেও মন্দির: কেশব দেও মন্দিরটি কৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরার ঠিক পাশেই অবস্থিত। কথিত আছে এই মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের মূল মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণের পৌত্র শ্রীবজ্রনাভ। সুতরাং কাল বিবেচনায় এটি খুবই পুরোনো একটি মন্দির। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগের এই মন্দিরটি।
রাধারমণ মন্দির: ১৫৪২ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বৃন্দাবনে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৈরি করেছিলেন গোপাল ভট্ট গোস্বামী। তিনি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যকে কঠোর ভাবে অনুসরণ করতেন। বৃন্দাবনের সর্বাধিক পূজিত ও জনপ্রিয় মন্দির এই রামাযান মন্দির। এই মন্দিরে স্বয়ম্ভু শালগ্রাম শিলায় শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি রয়েছে।
যুগল কিশোর মন্দির: যুগল কিশোর মন্দির, বৃন্দাবন ১৬২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই যুগলকিশোর মন্দির। উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে অবস্থিত এই মন্দিরটি, এই অঞ্চলের প্রাচীন একটি মন্দির। এই মন্দিরটি স্থাপন করেন গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী নদীর এই পারে এখানেই ভগবানের লীলা প্রকাশ পেয়েছিল। তিনি এই ঘাটে কাশি রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই মন্দির ‘কাশীঘাট মন্দির’ নামেও পরিচিত।
রঙ্গোজি মন্দির: ‘রঙ্গোনাথ’ বা রঙ্গোজি মন্দির নামে পরিচিত বৃন্দাবনের এই মন্দিরটি। এটি অবস্থিত মথুরায়। উত্তর ভারতে দক্ষিণ ভারতের শিল্পকর্মের নির্দশন হিসাবেও এই মন্দিরটি বিখ্যাত। এটিতে রয়েছে দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্য কর্মের নিদর্শন। এখানে বিষ্ণুর রঙ্গোনাথ রূপটি পূজিত হয়।