নয়াদিল্লি: শুরুটা হয়েছিল ইউপিএ জমানার শেষের দিক থেকে। মোদি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময়ে তা চূড়ান্ত আকার নিয়েছে। ভারতের দারিদ্রের সংখ্যা গ্রাফটি এমনই। উল্লেখযোগ্যভাবে এই সময়েই সমগ্র দেশে ক্রমশ সংখ্যালঘু হতে শুরু করে বামেরা।
আরও পড়ুন- ‘লাস্ট সিন থিয়োরি’র ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা অযৌক্তিক নয়: সুপ্রিম কোর্ট
পরিসংখ্যান তুলে এমনই দাবি করেছেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি দাবি করেছেন যে ভারত আবার ব্যাপক মাত্রায় দারিদ্রতার দিকে এগিয়ে চলেছে। ২০০৪ সাল থেকে ভারতের দারিদ্রের হার কমতে শুরু করেছিল। ২০১২ সালে তা অনেকটাই কমে যায়।
আরও পড়ুন- করোনায় মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশ যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়: অভিজিৎ
কিন্তু এরপর থেকে ভারতে ফের বাড়তে শুরু করেছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। ২০১৯-২০ সালে তা আরও বড় আকার নিয়েছে। ইয়েচুরি দাবি করেছেন যে ২০১২ সালে ভারতের দারিদ্রের হার ছিল ২১.৯ শতাংশ। যা ২০১৯ সালে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৯ শতাংশে। সংখ্যার হিসেবে ভারতের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছেন। ২০১২ সালে সেই সংখ্যা ২৭ কোটিতে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- স্বামীর হাতে ধর্ষিত স্ত্রী চাইতে পারবেন বিবাহ বিচ্ছেদ, জানাল হাইকোর্ট
সুকৌশলে এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের রাজনৈতিক প্রচার করেছেন অভিজ্ঞ সিপিএম নেতা। কারণ ২০০৪ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং পরিচালিত প্রথম ইউপিএ সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিল বামেরা। ওই সরকার গঠনে বড় ভূমিকা ছিল বামেদের। ২০০৮ সালে পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে প্রথম ইউপিএ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেয় বামফ্রন্ট।
সরার থেকে বেরিয়ে গেলেও তখনও সমগ্র দেশে সংখ্যালঘু হয়ে যায়নি বামেরা। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ভরাডুবি ঘটে বামেদের। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার অবসান ঘটে। সেই সময় অনেকটাই ক্ষমতা কমে যায় লাল ঝাণ্ডার। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতেও বামেদের গড় বাংলায় বজায় থাকে ব্যর্থতার ছবি। ত্রিপুরা থেকে ২০১৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয় বামেরা। এই মুহূর্তে দেশে কেবলমাত্র কেরলে রয়েছে বাম শাসন।
আরও পড়ুন- আলিপুরদুয়ারে বিকৃত যৌন লালসার শিকার পঁচানব্বই বছরের বৃদ্ধা
যব মিলিয়ে ২০১১ সালের পর থেকেই ক্রমশ সংখ্যালঘু হতে শুরু করে বামেরা। ভারতে বামেদের সেই পতনের সঙ্গে ব্যস্তানুপাতিক হারে বেড়েছে দারিদ্র। ২০১৯-২০ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান দিয়ে তা তুলে ধরেছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তারপরে দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা। এই করোনাকালে অর্থনীতি আরও খারাপ হয়েছে এবং দারিদ্র যে বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। সেই তথ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি। এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে অবিলম্বে মানুষের হাতে নগদ টাকা এবং বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার দাবি তুলেছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।