নয়াদিল্লি: নত হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখাচ্ছেন না ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং (Brij Bhushan Sharan Singh)। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন দেশের সেরা কুস্তিগিররা। মহিলা কুস্তিগিরদের প্রতি যৌন হেনস্তার দায়ে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি কিন্তু বহাল তবিয়তে আছেন এবং এবার উল্টে পকসো আইন নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।
বিজেপি সাংসদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই এই আইন সংশোধন করাতে সরকারকে বাধ্য তিনি। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার (Ayoddhya) রামকথা পার্কে আগামী ৫ জুন জন চেতনা মহা র্যালি। মনে করা হচ্ছে, ওই জনসভাতেই ২০২৪ সালের কথা মাথায় রেখে শক্তি প্রদর্শন করতে চলেছেন ব্রিজভূষণ। সেই কর্মসূচি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি এবং জানালেন, জনসভায় অন্তত ১১ লক্ষ সাধুসন্ত অংশ নেবেন। ব্রিজভূষণ বলেন, সাধুদের নেতৃত্বে আমরা সরকারকে পকসো আইন বদল করতে বাধ্য করব। এর সমস্ত দিক না দেখেই কংগ্রেস এই আইন এনেছিল।
আরও পড়ুন: Monsoon Likely Normal-IMD | দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস, এল নিনো-র সতর্কতাও মৌসম ভবনের
বিনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ার মতো দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা ফেডারেশনের সভাপতির পদত্যাগ এবং গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। ২৩ এপ্রিল থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরে চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। এদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিজভূষণ, সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতেও রাজি নন তিনি। তিনি বলেন, ওদের (কুস্তিগিরদের) দাবি ঘনঘন পরিবর্তন হচ্ছে। ওরা প্রথমে আমাকে ফেডারেশনের প্রধান হিসেবে পদত্যাগ চায়। আমি যদি পদত্যাগ করতাম তাহলে মনে হত আমি সমস্ত অভিযোগ মেনে নিচ্ছি। পদত্যাগ বড় ব্যাপার নয়, কিন্তু আমি সেটা করব না, কারণ আমি অপরাধী নই।
এর আগেও নাছোড় মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন ব্রিজভূষণ। তিনি বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করব না। আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। তারপর তিনি বলেন, গত কয়েকমাস ধরে আমি অপমানিত হচ্ছি। আমার পরিবার এবং সমর্থকদের আঘাত করছে। আমি দ্রুত তদন্ত চাই। গত চারমাস ধরে আমার বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগ আসছে এবং নতুন নতুন মানুষ অভিযোগ করছে। আমি সবসময় সরকারকে সম্মান করেছি, ওরাই সব নিয়ন্ত্রণ করে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ।