জম্মু: কাশ্মীরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৬ জনের মৃত দেহ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে৷ ৩ জন কিসত্বার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর৷ বাকি দুজন স্থিতিশীল৷ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে আটকে পড়ে জখমদের সঙ্গে দেখা করতে জম্মুর এডিজিপি মুকেশ সিং বুধবার রাতে হাসপাতালে যান৷ গুরুতর জখমকে জম্মুর হাসপাতালে স্থানান্তরের কখা জানিয়েছেন তিনি৷
আরও পড়ুন- বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কে, জানালেন মমতা
এ দিকে আখনুর এলাকায় চেনাব নদীতে জলস্তর বিপদ সীমা ছাড়িয়েছে৷ নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার স্থানীয়দের নিকটবর্তী সুরক্ষিত এলাকায় সরানো হয়েছে৷ উদ্ধারকাজে এখনও পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
আরও পড়ুন- ব্যবসায়িক চুক্তি ভঙ্গের কারণে শিল্পা শেঠীদের তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করল সেবি
সোমবার সকালে কাশ্মীরের কিসত্বার জেলার হাঞ্জার গ্রামে মেঘভেঙে বৃষ্টি শুরু হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রথমে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪। সেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জন হয়েছে। বুধবার প্রায় ৩০ জন নিরুদ্দেশ ছিল। পরে উদ্ধারকাজে নেমে পুলিশ ও সেনাবাহিনী বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন : মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গেল গাড়ি
গত কয়েক দিন ধরেই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে বৃষ্টিপাত। কিন্তু বুধবার সকালে হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জলোচ্ছাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভেসে যায় হাঞ্জার গ্রাম। গ্রামের সড়ক পথ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কাশ্মীরে জারি হয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার ফলে সেখানকার বেশ কিছু নদী বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। আজকের এই ঘটনার পর নদী গুলির ধারে কিংবা কাছাকাছির বসতি গুলিকে স্থানীয় প্রশাসন থেকে খালি করে দেওয়া হয়েছে।