ছোটবেলা থেকে স্টিফেন হকিংসের বই পড়তে ভালবাসতো। সেইসব বই পড়তে পড়তেই নিজেই লিখে ফেলল একটি রিসার্চ আর্টিকেল। যা লিখে নাসার ফেলোশিপ ভার্চুয়াল প্যানেলে জায়গা করে নিল ১৪ বছরের দীক্ষা শিন্ডে।
আরও পড়ুন : ডিএনএর রহস্যের খোঁজে নাসা, গবেষণায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরতী
মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গবাদের মেয়ে দীক্ষা শিন্ডে। দশম শ্রেণির ছাত্রী দীক্ষা অল্প বয়স থেকেই স্টিফেন হকিংসের অনেক বই পড়ে ফেলেছে। বয়স হয়তো খুবই কম। কিন্তু এই সব বই পড়তে পড়তেই কম বয়সেই বিজ্ঞানের অনেক গবেষণা মূলক তথ্য জানা হয়ে গেছে তার। স্টিফেন হকিংসের বই পড়ে নিজেই একটা আস্ত প্রবন্ধ লিখে ফেলল দীক্ষা। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে International Astronomical Search Collaboration (IASC)-এর আয়োজিত একটি গবেষণা মূলক প্রতিযোগিতায় নিজের লেখা সেই প্রবন্ধ পাঠিয়ে দেয় দীক্ষা। প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ছিল, ‘ভগবানের অস্তিত্ব আছে কি না?’ কিন্তু দীক্ষার এই রিসার্চ পেপার বাতিল হয়ে যায়। ওই রিসার্চ পেপারে কিছু পরিবর্তন করে অক্টোবর মাসে ফের একবার নিজের রিসার্চ পেপার জমা দেয় দীক্ষা। কিন্তু ফের তার রিসার্চ পেপার বাতিল করা হয়। তারপর আর ওই বিষয়ের ওপর গবেষণা না করে ব্ল্যাক হোল (Black Hole) নিয়ে নিজের লেখা একটি রিসার্চ পেপার পাঠায় দীক্ষা। তার ব্ল্যাক হোল নিয়ে পাঠানো সেই রিসার্চ পেপার জিতে নেয় IASC’র গবেষণা মূলক প্রতিযোগিতা। নাসা তার এই রিসার্চ পেপারকে সেরা বলে নির্বাচিত করে। ২০২১ সালের মে মাসে The International Journal of Scientific & Engineering Research দীক্ষার পাঠানো ”We Live in Black Hole ?” রিসার্চ পেপারটিকে সেরা হিসাবে বেছে নেয়। এই প্রতিযোগিতা জেতার পর নাসার ফেলোশিপ ভার্চুয়াল প্যানেলে কাজ করার প্রস্তাব পায় দীক্ষা। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে সে এবং খুব শীঘ্রই নাসার হয়ে কাজ করবে মাত্র ১৪ বছরের দীক্ষা শিন্ডে।