নয়াদিল্লি: এক আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের খোঁজ চালাচ্ছে ভারতের নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো (NCB)। ভারত, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ছড়িয়ে আছে এই চক্র। দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) স্পেশ্যাল সেলের সঙ্গে যৌথ অভিযান করে মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যাল উদ্ধার করল এনসিবি, গ্রেফতার হয়েছে তিনজন। এনসিবির দাবি, এই মাদক চক্রের ‘মাস্টার মাইন্ড’ এক তামিল ফিল্ম প্রযোজক। তিনি এখন পলাতক।
তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজধানী থেকে এবং বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫০ কেজি সিউডোএফিড্রিন (Pseudoephedrine) নামে এক কেমিক্যাল। অত্যন্ত দামি, ক্ষতিকর এবং আসক্তির মাদক মিথেমফেটামাইন (Methamphetamine) তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ওই কেমিক্যাল পদার্থটি। ভারতে মিথেমফেটামাইনের ব্যবহার কিছু ক্ষেত্রে আইনি হলেও তা নিয়ন্ত্রিত। এর উৎপাদন, বিক্রি, রফতানি এবং মজুতে কড়া নিয়ম আছে। এনডিপিএস আইনে (NDPS Act, 1985) এর অবৈধ মালিকানা এবং বিক্রির দায়ের ১০ বছরের হাজতবাস।
আরও পড়ুন: গাড়ি থেকে রাস্তায় টাকার বান্ডিল উড়িয়ে শাস্তির কোপে যুবক
মাদক চক্রের খোঁজ পেতে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে এনসিবি। নিউজিল্যান্ড শুল্ক দফতর এবং অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে তারা খবর পায়, বিশাল পরিমাণে সিউডোএফিড্রিন ওই দুই দেশে পাঠানো হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ওই কেমিক্যালের প্রতি কিলোগ্রামের দাম দেড় কোটি টাকা।
চার মাস ধরে কড়া নজরদারির পর তদন্তকারী দল জানতে পারে, দিল্লি থেকে সিউডোএফিড্রিন ফের অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে। ২৪ ঘণ্টার টানা তল্লাশির পর পশ্চিম দিল্লির বাসাই দারাপুরে এক খোঁজ মেলে। ১৫ ফেব্রুয়ারি যখন পাচারচক্রের সদস্যরা ফুড প্রডাক্টের সঙ্গে সিউডোএফিড্রিন প্যাকেটে ভরছে, এনসিবি এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল হানা দেয়। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হয় তিনজন যারা তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তাদের জেরা করেই সিনেমা প্রযোজকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: