নয়াদিল্লি: এর আগে বেশ কয়েকবার যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। অবশেষে গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীর সফর সেরেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এটাই ছিল সনিয়া-পুত্রের প্রথম ভূস্বর্গ সফর। এ বার জম্মু-কাশ্মীর যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। অক্টোবরের শুরুতেই উপত্যকায় যাচ্ছেন তিনি।
সূত্রের খবর, অক্টোবরে ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে থাকবে মোহন। জম্মু-কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর এই প্রথম সেখানে যাচ্ছেন তিনি। তিনদিনের সফরে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপচারিতার সারবেন সঙ্ঘ প্রধান। সংঘঠনের কাজকর্ম সহ অন্যান্য কাজে নিয়ম করে দেশের নানা প্রান্তে যান সঙ্ঘ প্রধান। তবে করোনার জেরে রাজ্য সফর বন্ধ রেখেছিলেন মোহন।
আরও পড়ুন: ‘আমিও কাশ্মীরি পণ্ডিত’, জম্মুতে বললেন রাহুল, ‘সুযোগসন্ধানী’ বলে খোঁচা বিজেপির
প্রায় দু’বছর পর জম্মু-কাশ্মীর যাচ্ছেন তিনি। তিনদিনের সফরে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপচারিতা (এটিই তাঁর একমাত্র পাবলিক প্রোগ্রাম) ছাড়াও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আরএসএস প্রধান জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত আরএসএস -এর সহযোগী সংগঠনের প্রচারক ও প্রধানদের সঙ্গে দেখা করবেন। উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজখবর নেবেন সঙ্ঘ প্রধান।কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উন্নত পরিস্থিতির আলোকে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়। জম্ম, কাশ্মীর এবং লাদাখ থেকে ‘বিশেষ রাজ্যের’ তকমা তুলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয় এই তিন এলাকাকে। ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই ধারা বলে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: তালিবান আতঙ্কে কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের