শ্রীনগর: মঞ্চে উঠে মাইকের সামনে বলে উঠলেন, ‘জয় মাতা দি’ (Jai Mata Di)৷ উপস্থিত জনতাকেও ‘জয় মাতা দি’ বলার জন্য উৎসাহিত করেন তিনি৷ হিন্দিতে বলেন, ‘বোলিয়ে বোলিয়ে জয় মাতা দি৷ বৈষ্ণোদেবী দর্শনের পর মনে হচ্ছে আমি যেন বাড়িতে এসেছি৷ জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সঙ্গে আমার পরিবারের দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে৷ আমি একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত৷’ জম্মু সফরের দ্বিতীয় দিন দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কথাগুলি বলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)৷
এর আগে কবে রাহুলকে তাঁর কাশ্মীরি সত্ত্বা তুলে ধরতে দেখা গিয়েছিল তা মনে করতে পারছে না রাজনৈতিক মহল৷ এর পিছনে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি খুঁজে পেয়েছে বিজেপি৷ জানিয়েছে, কংগ্রেস ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করা ছাড়া কিছু বোঝে না৷ ওদের ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য কাশ্মীরি পণ্ডিতদের তাঁদের জন্মস্থান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: রহস্যজনকভাবে খুন প্রাক্তন বিজেপি নেতা আত্মারাম তোমার, ঘর থেকে উদ্ধার দেহ
বৃহস্পতিবার জম্মুতে গিয়েছেন রাহুল৷ তার পর আজ অংশ নেন দলীয় কর্মসূচিতে৷ সেখানে রাহুল বলেন, ‘আমি একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত৷ আমার পরিবার কাশ্মীরি পণ্ডিত৷ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এক প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছিল৷ আমায় বলেছে, কংগ্রেস এখানে অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছিল৷ কিন্তু বিজেপি সরকার কোনও কাজ করছে না৷ কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাইদের কাছে আমি প্রতিজ্ঞা করছি৷ আপনাদের জন্য আমি কিছু না কিছু করবই৷’
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এটা রাহুলের দ্বিতীয় জম্মু-কাশ্মীর সফর৷ সফরের প্রথমদিন তিনি গিয়েছিলেন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে৷ ১৪ কিমি পথ হেঁটে বৈষ্ণো মাতার দর্শন সারেন ৫১ বছর বয়সী রাহুল৷ তার পর আজ তাঁর মুখে শোনা গেল ‘জয় মাতা দি’ স্লোগান৷ দু’দিনের সফরে রাহুলের এমন হাব-ভাব এবং আচার-আচরণে কোথাও হিন্দুদের মন জয়ের প্রয়াস খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ধেয়ে আসছে সমালোচনাও৷ নিন্দুকদের মতে, বিজেপির সঙ্গে মেরুকরণের রাজনীতিতে পাল্লা দিতে না পেরে জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে কংগ্রেস৷ তাই আবার ‘টেম্পল রান’ শুরু হয়েছে রাহুলের৷
আরও পড়ুন: নিশীথের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে আরটিআই তৃণমূল নেতার
খোঁচা মেরেছে বিজেপিও৷ জানিয়েছে, কংগ্রেস বরাবরই সুবিধাবাদী দল৷ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুর্দশার কথা কি ভুলে গিয়েছেন রাহুল? ওদের ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ভিটে-মাটি ছেড়ে চলে যেতে হয় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের৷ কাশ্মীরের সমস্যার জন্য দায়ী নেহরু৷ রাহুল গান্ধী এসব কথা বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি এখনও পরিণত রাজনীতিক হয়ে ওঠেননি৷