উধোয়াল (পঞ্জাব): এখনও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে খলিস্তানি (Khalistani) নেতা অমৃতপাল সিং (Amritpal Singh)। পালাতে গিয়ে ১২ ঘণ্টায় পাঁচবার গাড়ি বদল করেছে। মোটরবাইকের টায়ার পাংচার হয়ে যাওয়ায় মোটরচালিত রিকশাতেও উঠতে হয়েছে। যে রিকশায় উঠেছিলেন খলিস্তানি নেতা এবং তাঁর সহযোগী, তার চালকের সঙ্গে কথা বলেছিল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ওই রিকশা চালক বলছেন, তাঁর ধারণাই ছিল না কাকে যাত্রী হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় ভাষায় ওই যানকে বলে রেহরা (Rehra)। মোটর চালিত তিন চাকা যানটি মূলত মালপত্র বহনের কাজ করে। তার ইঞ্জিনের শব্দে কান পাতা দায়, অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের মোটরভ্যানের মতো। ওই রেহরা নিয়েই জলন্ধর (Jalandhar) জেলার উধোয়াল গ্রাম থেকে পাঁচ কিমি দূরে মেহটপুর (Mehatpur) যাচ্ছিলেন ওই চালক। কিছুদূর যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান, মোটরবাইক নিয়ে রাস্তার পাশে দুজন দাঁড়িয়ে।
আরও পড়ুন: WBBSE | ধর্মঘটী শিক্ষকদের ‘শাস্তি’র বিষয়ে ঢোঁক গিলল রাজ্য, শোকজের হুকুম শিথিল
চালক বলছেন, ওরা আমায় বলল চাকা ফেঁসে গিয়েছে। আমিও দেখতে পেলাম পিছনের চাকা পাংচার হয়েছে। ওরা আমায় কাছাকাছি টায়ার সারানোর দোকানে নিয়ে যেতে বলল আর বাইকটা ট্রেলারে তুলে দিল। সে সময় আমি জানতাম না ওরা কারা, এর আগে কখনও দেখিইনি।
রিকশা চালক আরও জানান, আমি ওদের কাছাকাছি আরও একটি দোকান আছে, কিন্তু সেটায় যেতে হলে পিছন দিকে যেতে হবে। কিন্তু ওরা বলল, তার দরকার নেই, তাই আমরা মেহটপুরের দিকেই এগোলাম। মেহটপুর ছাড়িয়ে কিছুটা এগিয়ে একটা গাড়ি মেরামতির দোকানে নামিয়ে দিলাম ওদের। কী রংয়ের জামা পরেছিলেন অমৃতপাল এবং তাঁর সহযোগী তা মনে করতে পারছেন না রিকশা চালক। গাড়িতে প্রচণ্ড শব্দ হওয়ায় কানে ইয়ারফোন গুঁজে রেখেছিলেন তিনি, তাই যাত্রীরা নিজেদের মধ্যে কী বলছিল তা শোনা হয়নি চালকের। সে কথাই পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। ভাড়া বাবদ ১০০ টাকা দিয়েছিলেন ওই দুজন এবং কোনও খারাপ ব্যবহারও করেননি তাঁরা, জানিয়েছেন চালকটি।
প্রসঙ্গত, অমৃতপালের মোট সাতটি চেহারার ছবির সেট প্রকাশ করেছে পঞ্জাব পুলিশ। নিজেকে শিখ জঙ্গি জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের মতো কায়দায় সাজতে পছন্দ করেন ৩০ বছর বয়সী খলিস্তানি নেতা। কিন্তু এই ছবিতে নানা রঙের পাগড়ি (Turban) এবং নানা হেয়ারস্টাইলে (Hairstyle) দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এমনকী পাগড়ি বিহীন এবং সম্পূর্ণ দাড়ি-গোঁফ কামানো লুকেরও ছবি আছে। সেই লুকে একদম অন্যরকম লাগছে তাঁকে।