কলকাতা: ইন্ডিয়া জোটের (India Alliance) প্রথম প্রকাশ্য সভা হয়েছিল দিল্লির রামলীলা ময়দানে (Delhi Ramlila Maidan)। তারপর মুম্বই, পাটনা প্রভৃতি শহরেও সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। দেশে ইন্ডিয়া জোট সেভাবে মজবুত ভিত্তিতে গড়েও ওঠেনি। এই আবহে আগামিকাল রবিবার রাঁচিতে হতে চলেছে বিরোধী জোটের সমাবেশ (India alliance meeting in Ranchi)। বিজেপি বিরোধী ১৪ দলের শীর্ষ নেতৃত্বই রবিবারের এই উলগুলান সভায় হাজির থাকবেন বলে দাবি মূল উদ্যোক্তা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। জেএমএম নেতৃত্ব জানান, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) ,রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির মতো নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা হাজির থাকবেন। রাঁচির প্রভাত তারা গ্রাউন্ডে ওই সমাবেশে থাকবেন জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জেলবন্দি হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন তো থাকবেনই।
জেএমএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব শনিবারই রাঁচিতে পৌঁছে গিয়েছেন। তৃণমূলও সেখানে প্রতিনিধি পাঠাবে। তবে দলের শীর্ষ নেতারা প্রায় সকলেই নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। সূত্রের খবর, জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্ত রবিবারের বিরোধী সমাবেশে দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তবে তৃণমূল অন্য কোনও শীর্ষ নেতাকে না পাঠিয়ে বিবেকের মতো নেতাকে পাঠাচ্ছে কেন, তা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন, তৃণমূল জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে আছে। বাংলায় নেই। জাতীয় স্তরে যদি তারা ইন্ডিয়ায় থাকে, তবে তৃণমূল জাতীয় স্তরের কোনও নেতাকে রাঁচিতে পাঠাচ্ছে না কেন। তিনি বলেন, বিবেক গুপ্তকে কজন চেনেন। এর থেকেই বোঝা যায়, তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: আমি আপনাদের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার: মমতা
উলগুলান শব্দের অর্থ হচ্ছে বিদ্রোহ। জেএমএমের এক নেতা বলেন, রবিবারের সমাবেশ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাকই দেওয়া হবে। এই সমাবেশকে ঐতিহাসিক চেহারা দিতে কসুর করছে না জেএমএম, আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি। জেএমএমের ওই নেতা বলেন, রবিবারের সমাবেশে অন্তত পাঁচ লাখ লোকের জমায়েত হবে।
অন্য খবর দেখুন