নয়াদিল্লি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও সেদিন হোয়াইট হাউজে উপস্থিত থাকবেন কোয়াড গোষ্ঠীর আরও দুই নেতা তথা অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী সুগা জোসিহিদে। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ এমনটাই জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর ২৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের মসনদে বসার পর প্রথমবার কোয়াড সম্মেলন আয়োজন করেছে আমেরিকা।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের কোয়াড সম্মেলনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যার মধ্যে আফগানিস্তান সংকট, করোনা পরিস্থিতি এবং ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নৌ নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার, অস্বাভাবিক মৃত্যু অখণ্ড পরিষদ সভাপতি নরেন্দ্র গিরির
উল্লেখ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই কোয়াড গোষ্ঠী গঠন করে ভারত-আমেরিকা জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় কোয়াডকে আরও প্রভাবশালী ভূমিকা নিতে আমেরিকাকে দীর্ঘদিন ধরেই আর্জি জানিয়েছে নয়াদিল্লি। আফগানিস্তান সংকটের পাশাপাশি ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি প্রণয়ন এবং মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের দাপট রুখতে এই গোষ্ঠীর গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করে নয়াদিল্লি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্ক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশন। সেখানে অংশগ্রহণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অধিবেশন চলাকালীন নিউইয়র্কে হাজির থাকবেন কোযাড গোষ্ঠীভুক্ত দেশের চার নেতাই।
আরও পড়ুন: এক মাসে ২২ হাজার বার ভূমিকম্প, ৫০ বছর বাদে জেগে উঠল ক্যানারি দ্বীপের আগ্নেয়গিরি
২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন শেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু গত এক বছরে একাধিকবার ভার্চুয়াল মিটিং করলেও প্রথমবার সরাসরি বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
একদিকে, উত্তপ্ত আফগান পরিস্থিতি অন্যদিকে চীনের দাদাগিরি। এশিয়ার এই অশান্ত রাজনৈতিক ঘনঘটায় বিশ্বের দুই বৃহত্তম গণতন্ত্রের রাষ্ট্রনেতার বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।