পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সাংবাদিক মন্ত্রীদের ফোন ট্র্যাকিংয়ের অভিযোগ খারিজ করল মোদি সরকার। বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে নজরদারির তত্ত্বকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল কেন্দ্র ।
রবিবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়, “সরকার কোনও কিছুই গোপন করেছেনা। ভয়ের কোন কারণ নেই। পূর্বেও একাধিকবার ভারতে পেগাসাস হ্যাকিং করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়।”
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “অতীতেও বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে নাগরিকদের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি ওই অভিযোগ সত্য নয় বলেই মেনে নিয়েছিল। এবার পেগাসাস স্পাইওয়্যারের অভিযোগটিও মিথ্যে। ভারতীয় গণতন্ত্রকে কলুষিত করার জন্যই এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমগুলি।” তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে আরও বলা হয়, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং গোপনীয়তা রক্ষায় সরকার দায়বদ্ধ।”
২০১৯ সালে ইজরাইলি সংস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে চারটি দেশ। এই অভিযোগ এই মার্কিন আদালতে আবেদন করে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা। সেই সময়ই ভারতীয় সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ ওঠে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। তখন সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছিলেন তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
উল্লেখ্য রবিরার পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সাংবাদিক মন্ত্রীদের ফোন ট্র্যাকিংয়ের অভিযোগ ওঠে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই মর্মে ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে উদ্ধৃত করে একটি ট্যুইট করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তারপরেই সন্ধ্যায় ইংরেজি পোর্টাল ‘দ্য ওয়ার’ এর এই রিপোর্টে চাঞ্চল্য ছড়ায় দেশজুড়ে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, ভারত ছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন দেশের কমপক্ষে ৫০ হাজার ফোন নাম্বার। তাদের সবার ওপরেই নজরদারি চালাতো ইজরায়েলের এই সংস্থাটি।