নয়াদিল্লি: পেগাসাস নিয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে জাতীয় রাজনীতি। এবার সরাসরি পেগাসাস নিয়ে সংসদের দুই কক্ষে আলোচনার দাবি তুলল বিরোধীরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বিরোধিতায় অরগ্ণী ভূমিকা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষপাতিত্বের প্রমাণ দিল রাজ্য
গত সপ্তাহের শুরু দিন থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। যার ঠিক আগেই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় পেগাসাস কেলেঙ্কারির খবর। যেখানে বলা হয়েছে যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেশের বহু বিশিষ্ট মানুষের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। তালিকায় রাজনীতিবিদ, আমলা, সাংবাদিকদের মতো অনেকে রয়েছেন। পেগাসাস নামক এক ইজরায়েলি সফটওয়্যারের সাহায্যে ফোন ট্যাপ করে চলছে নজরদারি।
আরও পড়ুন- অসমে ৩ দিনের শোক, থমথমে সীমানা, অভিষেকের নিশানায় মোদি সরকার
এই নিয়ে গত সপ্তাহে দফায় দফায় উত্তপত হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। বহুবার মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে অধিবেশন। পেগাসাস নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। তারপরেও পিছু হঠছে না ঘাস ফুল শিবির। সকল বিরোধীদের নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
আরও পড়ুন- চরম সংকট, রাত জেগে লাইন দিয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুখেন্দুবাবু বলেছেন, “পেগাসাস নিয়ে এত বিতর্ক হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ করে রয়েছেন? তিনি কেন তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করছেন না?” অন্য বিরোধী দলের নেতারাও স্নগসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সেই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন। তাঁদের সকলেই পেগাসাস নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- হাওয়ালা কাণ্ডে ধনখড়ের বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড়ের তোড়জোড়, দিল্লিতে বৈঠকে মমতা-বিনীত
পেগাসাস নিয়ে যখন সংসদের দুই কক্ষ উত্তাল হয়েছে তখন পালটা বিরোধিদের আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য, “সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে বিরোধীরা।” এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বিজেপিকে মনে করিয়েছেন ২০১০ সালে ২জি কেলেঙ্কারির কথা। সেই সময়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা নানাবিধ কেলেঙ্কারি নিয়ে সংসদ অচল করে দিয়েছিল তৎকালীন বিরোধী বিজেপি। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম।
আরও পড়ুন- উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের জন্য বড় ঘোষণা সংসদের
সেই সময়ে কেন্দ্রে চলছে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার। কংগ্রেস পরিচালিত সেই সরকারের জোটসঙ্গী ছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ক্যবিনেট মন্ত্রী। সেই সঙ্গে তৃণমূলের আরও ছয় সাংসদ ছিলেন সেই মন্ত্রিসভার সদস্য।