কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সরকারের প্রস্তাব মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কৃষক সংযুক্ত মোর্চা।
যদিও এই বিষয়ে গুরনাম সিং চুর্ণি জানিয়েছেন, ‘আমরা তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের বিষয়ে আমাদের দাবিতে কেন্দ্রের দেওয়া সংশোধিত বিলটি গ্রহণ করেছি। কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বৃহস্পতিবার আবার একটি বৈঠক করব।’ তবে, তিনি জানাতে ভোলেননি যে কৃষক আন্দোলন এখনও চলছে।
এ দিকে সরকার কৃষক নেতাদের উদ্দেশে পাঁচ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, ‘কিসান মোর্চার সকল সদস্যকে এমএসপি কমিটিতে রাখা হবে৷ সরকার রাজ্যগুলির ক্রয় হার কমাবে না৷ দ্রুত কৃষকদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহার করবে৷ হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে৷ কিসান মোর্চার সঙ্গে আলোচনার পরেই বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করা হবে এবং খড় পোড়ানোকে অপরাধমুক্ত ঘোষণা।
আরও পড়ুন – কৃষক মৃত্যুর তথ্য নেই, ক্ষতিপূরণের প্রশ্নই ওঠে না, সংসদে জানাল মোদি সরকার
We have accepted the revised draft given by the Centre over our demands in regard to farmers agitation against three farm laws. We will hold a meeting again tomorrow as soon we receive a formal letter from Centre. Protest is still underway: Gurnam Singh Charuni, BKU pic.twitter.com/U0f6l6GSY0
— ANI (@ANI) December 8, 2021
ডিসেম্বরের ৪ তারিখে কৃষক নেতাদের ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ (Amit Shah called Farmers)৷ শুক্রবার রাতে ফোন করে কৃষকদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি৷ গত দেড় বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের (Farmer’s Protest) চাপে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করে তিন কৃষি আইন (Three Farm Laws) প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র৷ তার পরেও আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসেননি কৃষকরা৷ ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) নিয়ে নতুন করে কোমর বেঁধে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা৷ এই আবহে কৃষকদের কাছে অমিত শাহের ফোন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
এমএসপি-সহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে শনিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন কৃষকরা৷ ঠিক হয়েছিল পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল বা কমিটি তৈরি করা হবে৷ সেই কমিটির সদস্যরা যাবেন অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলতে৷