লখনউ: সমর্থকদের নিয়ে সোমবার সাত সকালেই লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) পৌঁছে গেলেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (BKU) নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)৷ কৃষক আন্দোলনের জেরে রবিবার যেখানে ধুন্ধুমার ঘটে যায়৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে চাপা পড়ে একাধিক কৃষকের মৃত্যু হয়৷ তারই প্রতিবাদে আজ দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা৷
লখিমপুর খেরির বনবীরপুর গ্রামে পৌঁছে রাকেশ টিকায়েত বলেন, আগে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করব৷ তার পর গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলব৷ কৃষক এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ তাদের সিদ্ধান্তই শেষ কথা৷
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র জানিয়েছেন, গতকালের ঘটনায় তিনি বা তাঁর ছেলে কেউ জড়িত নয়৷ তাঁরা সেই সময় ঘটনাস্থলেও ছিলেন না৷ বরং প্রতিবাদীদের তিন বিজেপি কর্মী এবং গাড়ির চালককে পিটিয়ে মারে৷ অজয় মিশ্রের মন্তব্যের চটে গিয়েছেন রাকেশ টিকায়েত৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি জানান৷ বলেন, ১০ দিন আগে থেকে এখানকার পরিবেশ খারাপ করার চেষ্টা চলছিল৷ তবে গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করার পর বিস্তারিত ভাবে ঘটনাটা জানাবেন বলে জানান কৃষক নেতা৷
এদিকে গতকালের ঘটনার পর লখিমপুর খেরির দিকে রওনা হতে শুরু করেছেন কৃষকরা৷ কিন্তু পুলিশের ঘন ঘন চেকিংয়ের কারণে তাদের আসতে দেরি হচ্ছে বলে জানান বিকেইউ-র জাতীয় মুখপাত্র ধর্মেন্দ্র মালিক৷ তিনি বলেন, লখিমপুর আসার পথে আমাদের অনেক জায়গায় পুলিশ আটকায়৷ কোনও রকমে আমরা বনবীরপুর এসে পৌঁছেছি৷ রাকেশ টিকায়েতজি এখন কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় আরিয়ান সহ এনসিবি’র জালে ৮
অন্যদিকে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে লখিমপুর খেরিয়ে পুলিশ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে৷ জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা৷ কোনও রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলকেও ঢুকতে দেওয়া নাও হতে পারে৷ তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এদিকে আজই উত্তরপ্রদেশে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা রয়েছে তৃণমূলের৷ লখিমপুর খেরির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও৷ কিন্তু তাঁরা আদৌ লখিমপুর খেরিতে ঢুকতে পারবেন কিনা সে নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে৷