পাটনা: আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে আলোচনা চাওয়ায় এবার বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly) ধুন্ধুমার। চ্যাংদোলা করে বিধানসভার বাইরে বের করে দেওয়া হল সিপিআই(এমএল)-এর আট বিধায়ককে। মার্শাল দিয়ে একে একে আটজনকে (CPIML MLAs) বাইরে বের করে দেওয়া হয়। বিরোধীদের এক টুইটে প্রকাশ্যে এসেছে সেই ভিডিয়ো।
বিধায়কদের যখন বের করে দেওয়া হচ্ছিল, সেই সময় স্লোগান তোলেন তাঁরা। বলতে থাকেন গুন্ডাগিরি চলবে না, একনায়কতন্ত্র চলবে না। সিপিআই(এমএল) সদস্য বীরেন্দ্র গুপ্তা বলেন, বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন বিহারে (Nitish-BJP Govt) আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে আমরা আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু, এই সরকার আলোচনার জন্য রাজি নয়। তাই মার্শাল দিয়ে আমাদের বের করে দেওয়া হয় (MLAs evicted from Bihar assembly)। বিহারের বিজেপি-জেডিইউ সরকার সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে সামনে রেখে সমস্ত অপরাধ ধামা চাপা দিতে চাইছে।
For speaking against rising crime, corruption and communalism under @NitishKumar govt in Bihar, CPIML MLAs were brutally evicted from Bihar Assembly today.
We won't be silenced!
Nitish-BJP govt is running a rule of criminals in Bihar! pic.twitter.com/czJsSKh0BQ— CPIML Liberation (@cpimlliberation) March 31, 2022
বিরোধী সদস্যরা অন্যান্য ইস্যুর (crime, corruption and communalism) সঙ্গে জেডিইউ নেতা খুনের সিবিআই তদন্তের দাবিতে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তা আনতে দেননি। এই নিয়েই বিরোধী সদস্যরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। পরে অধ্যক্ষ মার্শাল ডেকে সিপিআই(এম এল) সদস্যদের বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
#WATCH | Patna: Marshals of Bihar Legislative Assembly carry CPI(ML) MLAs out of the House after they created a ruckus in the House over the law and order situation in the state. A total of eight such MLAs were carried out of the House. pic.twitter.com/wffbggTUIA
— ANI (@ANI) March 31, 2022
বিহার বিধানসভায় অপরাধ, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তারই সঙ্গে নীতিশ কুমারের রাজ্যে বন্যা নিয়েও কথা বলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিজয় কুমার সিনহা তাঁদের সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু বিরোধীরা তাতে কান না দিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন। সিপিআই(এম এল) সদস্যদের সঙ্গে ওয়েলে নেমে আসেন মিম বিধায়ক আখতারুল ইমামও। অধ্যক্ষ তাঁকেও বারবার নিজের আসনে ফিরে যেতে বলেন। তিনি তবু স্লোগান দিতে থাকেন। মার্শাল ডেকে আখতারুলকেও বের করে দেওয়া হয়। বুধবারও একই ইস্যুতে বিরোধী সদস্যরা বিধানসভায় হইহল্লা করেন।
গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরাও ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। অধ্যক্ষকে ঘিরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরে শাসক তৃণমূল সদস্যরাও ওয়েলে নেমে পড়েন। দু পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারিও হয়। রক্ত ঝরে। অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেন।