গুয়াহাটি: সোমবার অসম মিজোরাম সীমানায় বিরোধের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন অসম পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩-৪ জন সাধারণ বাসিন্দা-সহ আহত অন্তত ৪০। এই সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অসম ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর টুইটার তরজা চরমে। দুজনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রুম নম্বর ২০২, মঙ্গলবার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের চেয়ারে চানু
Honble @ZoramthangaCM ji , Kolasib ( Mizoram) SP is asking us to withdraw from our post until then their civilians won't listen nor stop violence. How can we run government in such circumstances? Hope you will intervene at earliest @AmitShah @PMOIndia pic.twitter.com/72CWWiJGf3
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) July 26, 2021
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীকে উল্লেখ করে টুইটে জানিয়েছেন, কোলাসিব (মিজোরাম)এসপি পিছু হটতে বলছেন নইলে তাঁদের নাগরিকরা সহিংসতা বন্ধ করবে না। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সরকার চালানো যায়? এরপরই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁকে ট্যাগ করেন। অন্যদিকে, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যেন অমিত শাহ দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মাত্র দুদিন আগে গত শনিবার শিলংয়ে উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই দুই পড়শি রাজ্যের মধ্যে এই সংঘাতে উত্তাপ ছড়িয়েছে গোটা অঞ্চলে।
Shri @AmitShah ji….kindly look into the matter.
This needs to be stopped right now.#MizoramAssamBorderTension @PMOIndia @HMOIndia @himantabiswa @dccachar @cacharpolice pic.twitter.com/A33kWxXkhG
— Zoramthanga (@ZoramthangaCM) July 26, 2021
আরও পড়ুন: হাওয়ালা কাণ্ডে ধনখড়ের বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড়ের তোড়জোড়, দিল্লিতে বৈঠকে মমতা-বিনীত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে রাজ্যের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ছাউনি তৈরি করছিল অসম পুলিশ। এই ঘটনা থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি। কী কারণে ছাউনি বানানো হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে জড়ো হয়ে যান হাজার-হাজার মানুষ। সেখান থেকে বাদানুবাদ আর তা থেকেই মৃত্যু হয় ৬ অসম পুলিশের।এই ঘটনা নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অসম পুলিশ। তাঁরা জানিয়েছে মিজোরামের দিক থেকে দুষ্কৃতীরা প্রথম তাঁদের আক্রমণ করেন। তাঁদের সমর্থন করে মিজোরাম পুলিশ। বাধ্য হয়ে তাঁরাও আক্রমণ শানায়।
আরও পড়ুন: ১৩২ দিন পর দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে
(Picture Courtesy: Twitter @himantbiswa)
এই ঘটনা নতুন নয়। অসম মিজোরাম সীমানায় প্রায় বিরোধ বাধে। এর আগে জুনে আর গতবছর অক্টোবরে দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। অক্টোবরে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার সংঘর্ষ হয়েছিল। কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়। বেশ কিছু ছাউনি এবং দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারের সংঘর্ষ সেসবকে ছাপিয়ে গিয়েছে। একপাশে অসমের কাছাড় জেলার লাইলাপুর অন্যপাশে মিজোরামের কোলাসিব জেলার ভৈরেন্তজ। এদিন এখানেই বাধে বিরোধ।
আরও পড়ুন: শহর তিলোত্তমার পুরনো স্মৃতি ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ক্যালকাটা’
কিছু বছর আগে অসম ও মিজোরাম সরকার একটি চুক্তি করে সীমানা রেখা বরাবর ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ বানায়। মিজোরামের তিন জেলা আইজল, কোলাসিব আর মমিত অসমের তিন জেলা কাছাড়, হালিয়াকান্দি আর করিমগঞ্জ পারস্পরিক সীমান্ত এলাকায় রয়েছে। এই সীমানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বছরের পর বছর ধরে। ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ বানিয়েও লাভ হয়নি। প্রায়ই সেখানে দখল করে ছাউনি বানায় দুই রাজ্যের কেউ না কেউ। আর তাই নিয়েই বাধে বিরোধ।