এবার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল অ্যামাজনের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি ভারতীয় প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে, দেশের বেশ কিছু সরকারি কর্মচারীদের ঘুষ দিয়েছে অ্যামাজনের উচ্চ পদস্থ কর্মীরা। যার জবাবে অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়েছে যে, যদি তাদে এই দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মার্কিন সংস্থা ভারতে তাদের কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অ্যামাজন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ না করলেও তাদের স্থানীয় মুখপাত্র এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : নিউ আলিপুরে প্রতারণা চক্র, গ্রেফতার ২২ জন ভুয়ো অ্যামাজন কর্মী
অ্যামাজনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা কোনও রকম অন্যায়ের সঙ্গে আপস করছে না। তারা তাদের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে এবং তদন্ত সম্পন্ন হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। অ্যামাজনের এক সূত্র মারফত সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যামাজনের একজন কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : জেমস বন্ডের এমজিএম কিনে নিল অ্যামাজন
ওই মুহূর্তে অ্যামাজনের নতুন কর্মকর্তা অ্যান্ডি জেসি ভারতে আরও বড় মাপে অ্যামাজনের ব্যবসা শুরু করতে চান। কিন্তু ভারতে অ্যামাজন ছাড়াও রয়েছে ফ্লিপকার্ট, ওয়াল-মার্ট এবং জিও মার্ট। অ্যামাজনের মত এই সংস্থাগুলিও ভারতের বাজার ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভারতে অ্যামাজনে ১ লক্ষেরও বেশি কর্মচারী কাজ করেন। ভারতে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আছে অ্যামাজনের। ২০২৫ সালের মধ্যে এদেশে প্রায় ২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান করতে পারার লক্ষ্য আছে এই সংস্থার। গত মাসে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। এই দুই অনলাইন সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, সময় অসময়ে বিশেষ ছাড়, অগ্রাধিকারমূলক পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, এই সব ই-কমার্স সাইটগুলো এই বিশেষ ছাড়ের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে একটা ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে, যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্ব বাজারে তাদের পক্ষে টিকে থাকা এবং ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।