দিল্লি: কেন্দ্রের তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত আইন মেনে চলতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার বন্ধ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ফেসবুক এবং গুগলকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। কংগ্রেস নেতা তথা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শশী থারুরের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বৈঠক বসেছিল। ডেকে পাঠানো হয়েছিল ফেসবুক এবং গুগলকে। ভারতীয় নাগরিকদের নেট দুনিয়ার অধিকার কতটুকু হওয়া প্রয়োজন? সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের এক্তিয়ার কতটুকু? সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ে ফেসবুক ও গুগল কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, কী কী পদক্ষেপ করছে, তা জানতে চাওয়া হয় মঙ্গলবারে বৈঠকে।
আরও পড়ুন কেন্দ্রের বৈঠকে ডাক ফেসবুক, গুগলকে, নেই ট্যুইটার
এদিন বৈঠকে ফেসবুক ইন্ডিয়ার হয়ে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সিল নম্রতা সিং ও পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর শিবনাথ ঠুকরাল। গুগলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ভারতীয় শাখার প্রধান গীতাঞ্জলী দুগ্গল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়ছে ভুয়ো খবরের দাপট। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো খবরের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন তথ্য প্রযুক্তি আইন আনে কেন্দ্র। চলতি বছরের ২৬ মে থেকে ভারতে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয আইনটি।
আরও পড়ুন ফেসবুক কর্তাদের সশরীরে সংসদীয় কমিটির সামনে হাজিরের নির্দেশ
নয়া আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনও পোস্ট বা কন্টেন্ট-র আইপি সংক্রান্ত তথ্য প্রয়োজনে শেয়ার করতে হবে। সমাজিক মাধ্যমে গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন আরজিও নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন তথ্য প্রযুক্তি বিধি নিয়ে কেন্দ্র ও ট্য়ুইটরের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপরেই জোর দিয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্য়ুইটর। এর পরই ট্যুইটার যে আইনি রক্ষাকবচ পেত, তাও খারিজ হয়ে গিয়েছে। ১৮ জুন সামাজিক অনলাইন মিডিয়ায় খবরের অপব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্যানেলে হাজির হতে বলা হয়েছিল ট্যুইটারের প্রতিনিধিকে। যদিও ট্যুইটারের কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে যোগ দেননি।