এবার ফেসবুক আধিকারিকদের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনাসামনি তলব করা হচ্ছে। ফেসবুক ব্যহারকারী নাগরিকদের অধিকার কতটা সুরক্ষিত এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রুখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে জানতেই তাঁদের তলব করা হয়। কিন্তু, করোনা সংক্রমণের কারণ দর্শিয়ে ফেসবুকের আধিকারিকরা সংসদীয় কমিটির সামনে সশরীরে হাজির হতে চাইছিলেন না। পাল্টা সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান শশী থরুর জানিয়েছেন, সংসদীয় নিয়মে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের উল্লেখ নেই। সুতরাং ফেসবুক কর্তাদের সরাসরি কমিটির সামনেই উপস্থিত হতে হবে। প্রয়োজনে কমিটির তরফে ফেসবুক অধিকর্তাদের টিকাকরণের ব্যবস্থাও করা হবে।
কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি প্রশ্ন তোলায় একে একে সংস্থাগুলির আধিকারিকদের। চলতি সপ্তাহেই তথ্য ও প্রযুক্তির বিষয়ে গঠিত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি ট্যুইটার আধিকারিকদের তলব করেছিল। শুক্রবার দীর্ঘ ৯০ মিনিট ধরে কেন্দ্রের নয়া আইন অনুসরণ না করার কারণ সহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব সহ একাধিক সংস্থার আধিকারিকদেরও স্বশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, ট্যুইটারের মতোই ফেসবুকও এখনও কেন দেশে কোনও কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করেননি, সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। যদিও ফেসবুকের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। তবে কেন্দ্রের নিয়ম না মানায় রোষানলে পড়ে ট্যুইটারকে যেভাবে আইনি সুরক্ষা হারাতে হয়েছে, তারপর ফেসবুক সেই পথে হাঁটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই, নির্দেশ মতো ফেসবুকের আধিকারিকরা সশরীরে কমিটির সামনে উপস্থিত হতে পারেন বলে সূত্রের খবর।