নয়াদিল্লি: ভারতীয় নাগরিকদের নেট অধিকার নিয়ে কী ভাবছে ফেসবুক এবং গুগল? সোশাল মিডিয়া এবং অন লাইন নিউজ পোর্টালগুলোর এক্তিয়ার কতদূর? এর ব্যবহার এবং অপব্যবহার নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করছে দুই বৃহৎ সংস্থা? এ সব নিয়েই খুঁটিনাটি জানতে ভারতের ফেসবুক এবং গুগলকে আলোচনায় ডেকে পাঠাল সংসদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটি। আগামী ২৯ জুন এই বৈঠক হওয়ার কথা। যদিও এই আলোচনায় ডাকা হয়নি অন্যতম মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটরকে।
সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনা এ দেশে নতুন কিছু নয়। যে সমস্ত খবরকে কেন্দ্র করে হিংসা, হানাহানিও ঘটেছে। আবার সরকারের কাজের বিরুদ্ধেও নেটিজেনরা একাধিক বার মুখ খুলেছেন সোশাল মিডিয়ায়। কিছু দিন আগেই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা দিশা রভিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে একটি টুল কিট গুগল ড্রাইভে শেয়ার করার অভিযোগে।
আরও পড়ুন : ট্যুইটারের আইনি রক্ষাকবচ কাড়ল কেন্দ্র
নেট নাগরিকদের অধিকার কী এ বার সরকার বেঁধে দিতে চাইছে? ২৯ জুন ডেকে পাঠানো হয়েছে ফেসবুক এবং গুগলকে। নেট নাগরিকদের অধিকার নিয়ে তারা কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেই বিষয়ে আলোচনা করতে এই বৈঠক। সোশাল মিডিয়া বা গুগলের মাধ্যেম প্রচুর ভুয়ো খবর ছড়ায়। যা মোকাবিলায় কেন্দ্র নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে কেন্দ্র এবং ট্যুইটরের মধ্যে শুরু হয়েছে সংঘাত।
ফেসবুক, গুগলকে সংসদীয় বৈঠকে ডাকা হলেও তাই কি বাদ পড়েছে ট্যুইটর? এর আগে গত ১৮ জুন, ট্যুইটরের কাছেও এই একই বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। নাগরিকদের অধিকার রক্ষা এবং সামাজিক অনলাইন নিউজ মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির অপব্যবহার মোকাবিলায় ট্যুইটর কী কী নিচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয়।
আরও পড়ুন : তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’!