কেন্দ্র-ট্যুইটার সংঘাতে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হল ট্যুইটার। শেষ মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করেও কোনও লাভ হল না। কেন্দ্রের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতির শর্তাবলী পূরণ করতে না পারায় এবার ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাল মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। এর ফলে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে যদি কেউ আদালতের দ্বারস্থ হন, সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সুরক্ষা পাবে না তারা।
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু হল শুটিং
নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতি নিয়ে কয়েকমাস ধরে কেন্দ্র-টুইটার টানাপোড়েন চলছে। প্রথমে নয়া নীতি মানতে রাজি না থাকলেও ৫ জুন কেন্দ্রের চূড়ান্ত নোটিসের পর অবশ্য আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। সরকারের নীতি মেনে নেবে বলে জানায় তারা। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশে এক প্রবীণ ব্যক্তিকে নিগ্রহের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে আদালতে মামলা রুজু হওয়ার পর ট্যুইটারের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বড় সাফল্য পুলিশের, গুলির লড়াইয়ে খতম ৫ মাওবাদী
গতকালই ট্যুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতির শর্ত মেনে চলার ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর। কেন্দ্রের দাবি মেনে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন এবং গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করার ব্যাপারেও সম্মতি জানায় মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। রাতারাতি অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগও করে ফেলে তারা। তারপরেও রেহাই মিলল না।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আইটি আইনের ৭৯ নম্বর ধারায় আইনি রক্ষাকবচ পেত ট্যুইটার। কিন্তু নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতি সমস্ত শর্ত না মানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় ট্যুইটার আর কোনও আইনি রক্ষাকবচ পাবে না তারা। সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগেই ট্যুইটারের আইনি রক্ষাকবচ কেড়ে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে পুলিশি জেরার মুখে মিঠুন
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আচমকা আইনি রক্ষাকবচ কেড়ে নেওয়ায় হতাশ ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। রক্ষাকবচ খোয়ানোর পর ট্যুইটারের এক মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নীতির শর্তাবলী মেনে চলতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রতিপদে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রককে সমস্ত বিষয়ের আপডেট দেওয়া হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারও নিয়োগ করে ফেলা হয়েছে।