অনিয়মিত জীবনযাপন, দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ কিংবা শরীরচর্চার অভাবের কারনে আজকাল পেট ও হজম সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। হজম সংক্রান্ত একাধিক সমস্যার অন্যতম হল অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা। বুকে জ্বালা ভাব বিশেষ করে বুকের নীচের অংশে চাপ অনুভব করা কিংবা চোঁয়া ঢেকুর ওঠা। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় অ্যাসিডিটি বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স। আর চটজলদি এই জ্বালা ও ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পেতে মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে ফেলেন অনেকেই। একাংশ তো এই ওষুধ খাওয়ার বিষয়টিকে নিত্য দিনের অভ্যেসে পরিণত করেছে। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া এ ভাবে দীর্ঘদিন এক টানা ওষুধ খেলে ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যা হতে পারে তা বলা বাহুল্য।
তাই সেই পথে না গিয়ে বরং নিত্য দিনের জীবনযাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলে সহজেই এই সমস্যার সমাধান হয় এমনটাই জানাচ্ছেন ফিটনেস কোচ(fitness coach) নিধি গুপ্তা (Nidhi Gupta) । এই বিষয়ে ইনস্ট্রাগ্রামে (instagram) একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন । রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহারে অনেকটাই কমিয়ে আনা যায় অম্বলের সমস্যা (acidity) । যেমন-
কিশমিশের মত আঙুর শুকিয়েই মুনাক্কা তৈরি করা হয়। দেখতেও কিশমিশের মত। তবে কিশমিশে বীজ না থাকলেও মুনাক্কাতে বীজ থাকে এবং এগুলো কিশমিশের থেকে আকারে বড় হয়। তবে বলা হয় কিশমিশ নাকি ভারতীয় নয়। মুনাক্কার ব্যবহার আয়ুর্বেদে খুবই প্রচলিত তাই মুনাক্কার ‘ইন্ডিয়ান রুটস‘ রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। কিশমিশের তুলনায় মুনাক্কার গুনও বেশি আর এটা খেলে গ্যাস্ট্রিক বা অম্বল হয় না।
রাতে ৫টা মুনাক্কা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এতে অ্যাসিডির সমস্যা কমবে।
টাটকা বাটারমিল্ক আপনার অ্যাসিডিটির সমস্য সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনে। বাটারমিল্ক অ্যাসিডিটির লেভেল অনেকটাই কমিয়ে আনে।
নিত্য প্রয়োজনীয় মশলা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই ম্যাজিক ড্রিংক।
উপকরণ: এলাচ(থেতো করে নিন), কালো মরিচ, লবঙ্গ, মৌরি, হলুদ, তুলসী পাতা ও জল।
এই সবকটি উপকরণ জলে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ফোটানো হয়ে গেলে জল ছেঁকে নিন। অল্প ঠান্ডা হলে খেয়ে নিন। তবে বেশি ঠান্ডা করবেন না
গোলাপের পাতার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফুটিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে গুলকন্দ তৈরি। গুলকন্দ বানানোর জন্য সাধারণত গোলাপি রঙের গোলাপ ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের গোলাপ যেমন দামাস্ক, চাইনা গোলাপ, ফ্রেঞ্চ গোলাপ ও ক্যাবেজ গোলাপ ব্যবহার করা হয়।
অম্বল হলে জলে গুলকন্দ গুলে খেয়ে নিন আরাম পাবেন।
এই বিষয়গুলি মেনে চললে অ্যাসিডিটি ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। তবে কোনও বিশেষ শারীরিক সমস্যার কারনে এই অ্যাসিডিটি বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় তা হলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
(ছবি সৌজন্য :Freepik)