প্যান্ডেমিকের (Pandemic) আতঙ্কে ইদানীং নতুন করে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকেই ঝুঁকছেন অনেকেই। তবে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই প্রয়োজনীয় পুষ্টির(Nutrition) অনুমান সঠিক রাখার সম্ভব হয়ে ওঠে না। এরপর আবার কী খাবেন কীভাবে খাবেন এই নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। এখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এমন কিছু ভ্রাম্ত ধারণা যা একেবারে বেদবাক্যের মতো মেনে চলেন অনেকেই। তবে দীর্ঘদিন এটা চলতে দেওয়া ঠিক নয়, বিশেষ করে যথন প্যান্ডেমিকের প্রকোপ থাকছেই! তাই খাবার(food) ও পুষ্টি(nutrition) নিয়ে ভুল ধারণা অবিলম্বে বদলে ফেলা দরকার। পুষ্টিকর খাবার শুধু শরীর নয়, মনের স্বাস্থ্যের জন্যেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভ্রান্ত ধারণা: কলা খেলে ঠান্ডা লাগে তাই সন্ধ্যে বেলায় খাওয়া উচিত নয়।
বাস্তব: এর কোনও ভিত্তি নেই। এবং কলা অন্যান্য ফলের মতোই। প্রয়োজনে রাতেও খাওয়া যেতে পারে।
ভ্রান্ত ধারণা: ডায়বেটিকরা গুড় খেতে পারেন
বাস্তব: এটা ভুল। গুড়ও চিনির মতোই। তাই ডায়াবেটিকদের জন্য গুড় একদমই নয়। তবে যাঁরা নন-ডায়াবেটিক তাঁরা চিনির বদলে গুড় খেতে পারেন।
ছবি সোজন্য: Pixabay
ভ্রান্ত ধারণা: কফি শরীরের পক্ষে ভাল নয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য।
বাস্তব: কফি বা চা ছাড়া যাঁদের একটা দিনও চলে না তাঁদের অন্তত একবার এই সাবধান বাণী শুনতে হয়েছে। কফি হোক বা চা দুটোতেই ক্যাফেন রয়েছে। ক্যাফেনের খারাপ দিক ও ভাল দিক দুটোই আছে। তা ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত কোনও খাবারই ভাল নয়। তা কফি বা চা হোক কিংবা অন্য কোনও পুষ্টিকর খাবার। তাই এক কাপ কফি বা চা খেলে কোনও অসুবিধে নেই। তবে খাবারের পরেই চা বা কফি খাবেন না। বরং খাবার খাওয়ার অন্তত ঘন্টা দুয়েক পরে খেতে পারেন।
ভ্রান্ত ধারণা: ঠান্ডা লাগলে ভাত খাওয়া একেবারেই চলবে না।
বাস্তব: কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ যে ভাত খান! ভাত খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোনও যোগ নেই।
ভ্রান্ত ধারণা: সর্দিকাশি হলে টক দই খাওয়া চলবে না।
বাস্তব: এটা যদি সত্যি হয় তা হলে ঠান্ডার দেশের মানুষ কী করে প্রত্যেকদিন দই বা ইয়গহার্ট খান। ঠান্ডা লাগার সঙ্গে দই খাওয়ার কোনও যোগ নেই।
ভ্রান্ত ধারণা: শরীর ভাল রাখতে ঘন ঘন খাবার খাওয়া উচিত।
বাস্তব: প্রত্যেক ঘন্টায় খাবার খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। যে কোনও দুটো খাবারে মধ্যে অন্তত তিন ঘন্টার ব্যবধান রাখা বাঞ্ছনীয়। আর আপনি যে খাবার খাচ্ছেন তা হজম হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। এটা ঘন্টায় ঘন্টায় খেলে সম্ভব নয়। তবে ডায়েবেটিস ও অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রে এটার প্রয়োজন হতে পারে।
ভ্রান্ত ধারণা: প্রাতরাশ দিনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আহার।
বাস্তব: প্রত্যেকটি আহার-ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা ঠিক, দিনের প্রথম আহার হিসেবে শরীরকে চাঙ্গা করতে প্রাতরাশ বা ব্রেকফাস্ট অত্যন্ত আবশ্যক। এটা বাদ দেওয়া চলবে না। আর ব্রেকফাস্ট মানেই যে ভারী কিছু খেতে হবে তা কিন্তু নয়। ওটস বা ফল দিয়েও দিনের শুরু করা যেতে পারে।