শীতকালে দ্রুত বাড়ে ওজন। তবে এর পিছনে থাকে একাধিক কারণ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারণগুলো যেনে সেই মতো কাজ করলে এই শীতে আপনি থাকবেন একেবারে ফিট অ্যান্ড ফাইন!
শীতকালে কেন বাড়ে ওজন
শীতকালে ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল ক্যালোরি ইনটেক (calorie intake)। বিশেষ করে বিয়ে বাড়ি (wedding function), ক্রিসমাস (Christmas), নিউ ইয়ার (new year) একের পর এক চলতে থাকে উত্সব-অনুষ্ঠানের পালা আর সঙ্গে মনের সুখে খাওয়া দাওয়া। অন্যদিকে আবার প্রচণ্ড শীত মানেই লো ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি, ঠান্ডায় আলস্যের কারণে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম হাঁটাচলা। তবে এখানেই শেষ নয়। এছাড়া থাকে ‘স্যাডের’ প্রভাব, স্যাড মানে সিজন্যাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (seasonal affective disorder)। এক ধরণের মানসিক অবস্থা যা ঋতু পরিবর্তনের কারণে হয়। অনেকর ক্ষেত্রে স্যাডের কারণে মন খারাপ, অবসাদ সেখানে থেকে বাড়ে ইমোশনাল ইটিংয়ের প্রবণতা। আর এই সব কিছু মিলে শীতকালে দ্রুত ওজন বাড়ে।
এই সব কিছুর মোকাবিলা করে এই ভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
মরশুমি ফল ও শাক সবজি খান
শীতকালে নানা রংয়ের মরশুমি ফল, শাক-সবজি পাওয়া যায়। এই সব খাবার নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন। পুষ্টিবিদদের মতে এই নানা রংয়ের খাবারের আলাদা আলাদা উপকারিতা যা আমাদের শরীরের সব রকম পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এই খব খাবার পাচনক্রিয়ায় ভাল রাখে। তবে মনে রাখতে হবে শুধু পছন্দের ফল বা সবজি বেশি বেশি করে খেলে হবে না। সুষম আহার হল সুস্থ্য থাকার চাবিকাঠি। তাই রকমারি সবজি, ডাল, শষ্য, মাছ মাংস সবই পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা উচিত।
জাঙ্ক ফুড ভুলেও খাবেন না
শীতকালে বেশি খাবার প্রবণতার কারণে অনেকেই মনের আনন্দে জাঙ্ক ফুড খেয়ে ফেলেন। আর জাঙ্ক ফুড মানেই এম্পটি ক্যালোরি ফুড। এমনিতে ক্যালোরি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্ত এম্পটি ক্যালোরি খাবারের কোনও নিউট্রিশনাল ভ্যালু নেই। বরং এতে প্রচুর পরিমাণে সলিড ফ্যাট ও অ্যাডেড সুগার থাকে যেগুলো একদিকে ওজন বাড়ায় অন্যদিকে শরীরের পুষ্টির অভাব ঘটায়।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে সুপের বাটিতে দিন সুখের চুমুক
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় এই সব খাবার খান
শীতের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন নানা রকমের বাদাম যেমন আখরোট, কুমড়ো, সূর্যমুখি কিংবা তিসির বীজ, ডাল, ডিম ও মাছ ইত্যাদি। এই সব খাবার শীতকালে যেমন শরীর গরম রাখে ঠিক তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়।
চিনেবাদাম
অন্যান্য বাদামের ভিড়ে এই শীতে চিনে বাদাম এড়িয়ে যাবেন না। চিনেবাদামে প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই সব উপাদান শরীরে ফোলাভাব কম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি শরীরও গরম রাখে। তাই অফিসে কিংবা বাড়িতে কাজের ফাঁকে অবশ্যই চিনেবাদাম খান। উপকার পাবেন।
ওয়ার্কআউট
শীতে কাবু হলে চলবে না। তাই শীতকালে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর ফলে ক্যালোরি বার্ন হবে শরীরে মেদ জমবে না।