বিউটি ওয়ার্ল্ডে নিত্যনতুন ফর্মুলায় তৈরি প্রসাধনীর অভাব নেই। এত শত সামগ্রীর সম্ভারের মাঝে কোনটা ছেড়ে কোনটা বাছবেন তা ঠিক করতেই সময় চলে যায়। তবে এত সব নতুন সামগ্রীর মাঝেও ত্বকের পরিচর্যায় বিএইচএ-র গুরুত্ব একটুও কমেনি। এই বিএইচএ কিংবা বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড এক্সফোলিয়েটর হিসেবে দারুণ ভাল কাজ করে। এই অ্যাসিড ত্বকের একেবারে গভীরে গিয়ে কাজ করে।
কীভাবে কাজ করে এই বিএইচএ (BHAs)
এই বিএইচএ ত্বকের রোমকূপের ভিতরে গিয়ে ত্বকের নীচে থাকা তেল নিঃসরণে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়ার ফলে ত্বকের তলায় জমে থাকা ত্বকের ওপরের স্তরে জমে থাকা মৃত কোষ, বাড়তি সিবাম সরিয়ে ফেলে। ত্বকের তলায় জমে থাকা এই সব মৃত কোষ ও বাড়তি সিবাম ত্বকের রোমকূপে জমে থাকে এর ফলে এই রোমকূপের ছিদ্রগুলি বড় হয়ে যায়।
এই বিএইচএ অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে এবং এগুলো ত্বকের ওপরের স্তরে জমে থাকা মৃত কোষগুলি পরিষ্কার করে।
এই বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড একটানা ব্যবহারের ফলে সময়ের সঙ্গে ত্বকে যে পরিমান তেল নিঃসরণের হয় তা আসতে আসতে চলে কমে যায়। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য এটা ভীষণ উপকারী। কারণ এটা ত্বকের সিবাম সিক্রিয়েশনের ব্যলেন্স বজায় রাখে।
বিএইচএর প্রকার ভেদ
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড (Salicylic Acid)
এই স্যালিসাইলিক অ্যাসিড অন্যান্য বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিডের তুলনায় বেশি জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি শক্তিশালী। যাদের ত্বক ব্রণ প্রবণ তাদের জন্য এই স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বেশ কার্যকরী। বন্ধ রোমকূপ, ব্ল্যাকহেড ও হোয়াইটহেডের ফলে ত্বকের যে সব সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সারিয়ে তোলে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের এই ক্ষমতার কারনে এই রাসায়নিককে ব্রণ ও ব্রণর পরে থেকে যাওয়া দাগ ছোপ দূর করতে পিলিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বেটাইন স্যালিসাইলেট (Betaine Salicylate)
এই বিএইচএ স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও বিটাইনের মিশ্রণ। বিটাইন হল এক বিশেষ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো এটা কড়া না হলেও একই কাজ করে। তাই এই বিএইচএ ব্যবহার করলে ত্বকে কোনও ক্ষতি হয় না।
উইলো বার্ক এক্সট্র্যাক্ট (Willow Bark Extract)
উইলো নামের গাছের ছালে স্যালিসিন নামে একটি উপাদান থাকে যা পরে স্যালিসাইলিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। বাকি দু’টির তুলনায় এই বিএইচএ ক্ষমতা ও প্রভাব অনেকটা কম।