করোনাকালে এখন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন সবাই। জাঙ্ক ফুডের বদলে পুষ্টিকর এবং বাড়িতে রান্না করা খাবারের দিকে অনেকেই ঝুঁকছেন আজকাল। তবে শুধু পুষ্টিকর খাবার খেয়েই নিশ্চিন্ত হলে হবে না। খাবারের পুষ্টি যাতে আপনার শরীর সম্পূর্ণ ভাবে পায় সেটাও মাথায় রাখতে হবে। তাই দিনের শুরুটা যদি পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শুরু করা যায় তা হলে আরও ভাল হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন হোমিওপ্যাথির চিকিত্সক ডা কুশাঙ্গি হেমানি। তাঁর কথায় দিনের শুরুটা যদি ভাল হয় তাহলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে আপনার মন ও কাজের ওপরও।
এমনিতে রাতের খাবার খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ খালি থাকে পেট। তাই এই সময় আপনি যে খাবার খাবেন তার সর্বস্ব শুষে নেয় শরীর। তাই সকালের খাবার পুষ্টিকর খাবার রাখলে সে পুষ্টির সবটাই আমদের শরীরে পৌঁছায়। তাই সকালে কী খাবেন তা ভেবে চিন্তে খাওয়াই ভাল। গাটের স্বাস্থ্য ও হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এমন খাবার খাওয়াই ভাল। আর এই ধরনের খাবার আমাদের সকলের রান্নাঘরেই রয়েছে। যেমন-
View this post on Instagram
আমন্ড বাদাম
দিনের শুরুটা আমন্ড বাদাম দিয়ে করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আমন্ড বাদামের পুষ্টি যাতে ঠিকমত আমাদের শরীরে পৌঁছায় তার জন্য আমন্ডের খোসা ছাড়িয়ে রাতেই জলে ভিজিয়ে রাখুন। আমন্ডে রয়েছে পুষ্টি ও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলির ত্বক ও স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অত্যন্ত আবশ্যক। এমনকি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বেশ কার্যকরী আমন্ড বাদাম।
কিশমিশ
আমন্ড বাদামের পাশাপাশি আপনি কিশমিশও রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেতে পারেন। গাট হেলথ ও হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠু রাখে কিশমিশ। চুল পড়াও কম করে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন ও ভিটামিন বি-ও আছে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে আমাদের শরীরে আয়রন ও ভিটামিন বি-র মত জরুরী উপাদানগুলি সহজে পৌঁছায়।
গরম জলে হলুদ গুঁড়ো
আমন্ড আর কিশমিশ তো হল। শরীর ভাল রাখতে এক গ্লাস গরম জলে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো খুব উপকারী জানাচ্ছেন ডা কুশাঙ্গি হেমানি। হলুদের অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে তাই এটা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
অনেক সময় ছোট ছোট পরিবর্তন কিংবা ভাল অভ্যেস শরীর কে অনেক বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়। তাই করোনাকালে মন ও শরীর চাঙ্গা রাখতে এই তিনটি খাবার নিয়মিত খান। শরীর ভাল থাকবে।
(ছবি সৌজন্য: Pexels)