আপনি শরীরচর্চা করতে ভালবাসেন। যতই ব্যস্ততা বা সময়ের অভাব থাকুক না কেন এই নিয়ে কোনো আপোস আপনার পছন্দ না। নিয়মে মেনে জিম যাওয়া চাই। বলা বাহুল্য আধুনিক জীবনযাপনের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার দোসর কোভিড অতিমারি। এই সব কিছুর মধ্যে নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা খুবই দরকার।নিয়মিত শরীরচর্চায় শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বেড়িয়ে গিয়ে শুধু আমাদের শরীর নয় ত্বকেরও অনেক উপকার হয়।
তবে সব কিছুর যেমন ভাল দিক আছে তেমন আছে কিছু সমস্যা।বিশেষ করে জিমে যাওয়ার অভ্যেস থাকলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সতর্ক না হলে ডেকে আনবেন ত্বকের বিপদ। প্রত্যেকেই যারা জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট করেন তাদের ত্বকের এই চারটি বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
ছড়ে যাওযা বা ফুসকুড়ির সমস্যা (Chafing and rashes)
ওয়ার্কআউটের সময় চামড়ায বা শরীরের খাঁজে বারবার ঘষা লেগে ছড়ে যাওয়া। সাধারণত যাদের ভীষণ ঘাম হয় তাদের এই সমস্যা হয়।
এইভাবে রোজ ঘষা লেগে ত্বকে জ্বালা ভাব কিংবা ফুসকুড়ি হতে পারে। এক্ষেত্রে ওয়ার্কআউটের সময় এমন জামাকাপড় পড়ুন যেটা ঘাম শুষে নেয়। এই সমস্যায় অ্যান্টিপার্সপিরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
স্কিন ইনফেকশন(skin infection)
বলা বাহুল্য জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউটের সব থেকে বেশি ও বিরক্তিকর সমস্যা হল স্কিন ইনফেকশন। বিশেষ করে পায়ের আঙুলের ফাঁকে কিংবা থাইয়ে এই সমস্যাগুলো হয় সবথেকে বেশি।
বিশেষ করে জিমে গেলে অন্যের ব্যবহার করা ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের কারনে ত্বকের যে কোনও সংক্রমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তাই জিমে গেলে অন্য কারও তোয়ালে ব্যবহার করবেন না।অন্যের ব্যবহার করা ইকুইপমেন্ট আপনি ব্যবহারের আগে স্যানিটাইজার স্প্রে করে নিন। আর যদি কোনও ত্বকের কোনও সমস্যা হয় তা হলে ওভার দ্য কাউনটার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। যে কোনও সংক্রমন ফেলে রাখলেই তা আরও বাড়বে।
ব্রণর সমস্যা বাড়তে পারে (acne problem gets aggravated)
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত বা ব্রণ প্রবণ হয় তাহলে জিমে গেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। ওয়ার্ক আউটের সময় ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর মধ্যে আগে থেকে ব্রণর সমস্যা থাকলে ত্বকের সমস্যা যে দ্বিগুণ হবে তা বলা বাহুল্য।
তাই জিমে ওয়ার্কআউটের সময়ে অপরিষ্কার ও ঘামা হাত মুখে দেবেন না। ওয়ার্কআউট হয়ে গেলে প্রথমে হাত ভাল করে ধুয়ে নিন। এর পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব জিমের জামাকাপড় ছেড়ে ফেলুন।
রোজেশিয়ার (rosacea) সমস্যা দ্বিগুন হতে পারে
রোজেশিয়ায় মুখের ব্লাড সেল(blood cell) আকারে অনেকটা বড় হয়ে যায়। এর ফলে গালে ও নাকে চালচে ভাব হয়ে থাকে সব সময়। এ ধরনের সমস্যা যাদের আছে তারা জিমে গেলে তা আরও বেড়ে যায়।ত্বকের যেথানে সমস্যা সেখানে জ্বালা বা চুকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই ওয়ার্ক আউটের পরে নিয়ম করে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম করে সিরাম বা অয়েন্টমেন্ট লাগান।
(ছবি সৌ: Unsplash)