খালি পেটে লেবু জল, জিরে ভেজানো জল, চিরতার জল অনেকেই খেয়েছেন। তবে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল খেয়েছেন কী। এমনিতেই শরীর গরম রাখতে ও সুস্থ থাকতে শীতকালে নিয়মিত ড্রাইফ্রুট খান অনেকেই তবে শীতকালে কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়ারও যে একাধিক উপকারিতা রয়েছে তা হয়ত জানেন না অনেকেই। যেমন-
অ্যাসিডিটির সমস্যা
শীতকালে অ্যাসিডির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এক্ষেত্রে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে অ্যাসডিটির সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন। এই কিশমিশ ভেজানো জল পেটের ভিতর যে অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি হয় তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিশমিশে ভাল মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়াম শরীরে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা কিংবা সমস্যা আছে তাঁরা প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
কিশমিশে বোরোন নামের একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে। এই বোরোন হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খুবই কার্যকরী। তাই কিশমিশ ভেজানো জল খেলে হাড় মজবুত থাকবে।
আরও পড়ুন: শীতের রুক্ষ ও শুষ্ক হাওয়ায় জৌলুস হারাচ্ছে চুল?
ওজন কমাতে সাহায্য করে
কিশমিশে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকে। তাই সকালে এই কিশমিশ ভেজানো জল খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
কিশমিশ ভেজানো জলে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই শীতকালের ফ্লু সব অন্যান্য রোগের ভাইরাসের থেকে দূরে থাকতে রোজ সকালে খেয়ে দেখতে পারেন কিসমিস ভেজানো জল।
পাচনতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে
কিশমিশে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। এই ফাইবার পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। কিশমিশ ভেজানো জল নিয়মিত খেলে শরীর ভাল থাকে।