শাক সবজি, মাছ মাংস তো বটেই এ ছাড়াও রান্নার নানাবিধ উপকরণ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য ফ্রিজ যে কত কাজের তা বলা বাহুল্য। যদিও সেক্ষেত্রে বেশ কিছু খাবার হাতে গোনা কয়েক দিন মাত্র স্টোর করা সম্ভব ফ্রিজে। এই সময়টা অতিক্রম করলে খাবার ফ্রিজে রাখা থাকলেও নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু জানেন কি রান্নায় নিত্য প্রয়োজনীয় এমন কিছু উপকরণ আছে যা ফ্রিজে সঠিক ভাবে স্টোর করলে মাসের পর মাস ঠিক থাকে। তবে শর্ত ঠিক ভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে। যেমন-
ব্রকলি স্টক
ব্রকলির ফুল কেটে সেটা যেমন ফ্রিজ করেন অনেকেই সেভাবে ফ্রিজ করতে পারেন। তবে যেটা হয়ত অনেকেই জানেন না সেটা হল ব্রকলি কেটে সিদ্ধ করে ব্রকলির স্টক তৈরি করে ফ্রিজ করতে পারেন। এয়ার টাইট কন্টেনারে স্টোর করলে অন্তত ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত ভাল থাকে এই ব্রকলি স্টক।
সেলেরি
সেলেরির পাতা ডাঁটি থেকে আলাদা আলাদা করে নিন। এবার সেলেরি পাতার স্টক করে ফ্রিজ করে নিন। এই ফ্রিজড সেলেরি সুপ তৈরির সময় ব্যবহার করতে পারেন। এই সেলেরি স্টক অন্তত দু’মাস পর্যন্ত ফ্রিজে স্টোর করতে পারেন।
ফ্রেশ হার্ব
কন্টিনেনটাল ডিশ খুবই প্রিয় তাই বাইরে থেকে না কিনে বরং পছন্দের কন্টিনেনটাল বাড়িতেই বানিয়ে নেন। এক্ষেত্রে রকমারি হার্বস ভীষণ কাজের। কিন্তু অনেক সময় এই সব ফ্রেশ হার্ব বাড়িতে না থাকায় কিংবা সহজে না পাওয়ার জন্য অনেক সময় পছন্দের কন্টিনেনটাল বানাতে পারেন না আপনি। তবে ফ্রিজে স্টোর করে রাখলে এই সব ডিশ বানানোর সময় আর হয়রানি হবে। তাই ফ্রেশ হার্ব মাখন বা অলিভ অয়েলে হাল্কা নেড়ে চেড়ে নিয়ে আইস কিউব ট্রেতে জমিয়ে দিন। এইভাবে রাখলে প্রায় ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত হার্বস স্টোর করতে পাবেন।
কালো আঙুর
বিজ ছাড়া কালো আঙুর স্ন্যাকস হিসেবে যেমন সু্স্বাদু তেমন পুষ্টিকরও। তাই এই ধরনের আঙুর ডাঁটি সমেত ফ্রিজার জমিয়ে নিন। এই অবস্থায় প্রায় ১২ মাস পর্যন্ত এই কালো আঙুর স্টোর করতে পারেন।
অ্যাভোকাডো
খোসা ছাড়িয়ে অ্যাভোকাডোর ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার এই টুকরোগুলোতে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস দিয়ে টস করে নিন। এরপর সিলিকন পার্শমেন্ট শিট প্যানে এই টুকরোগুলোর হাওয়া বার করে একটি এয়ারটাইট ব্যাগে ভরে ফ্রিজারে রেখে দিন। দীর্ঘদিন ভাল থাকবে।
(ছবি সৌ :Unsplash)