মালদহ: মালদা (Malda) জেলার বামনগোলা থানার (Bamongola PS) পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে (Two Women) অর্ধনগ্ন (Half Naked) করে মারধরের ঘটনায় নড়চড়ে বসল পুলিশ (Police)। সেই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হতেই পুলিশ পাঁচ জনকে আঁটক করে জিঞ্জাসাবাদ করছে। ধৃতদের মধ্যে তিন জন মহিলা আছেন। আটক ব্যক্তিদের নাম (১)মনোরঞ্জন মণ্ডল, (২)বিজয় মণ্ডল (৩) মিনতি টুডু (৪)বাসন্তী মার্ডী (৫)রেবতী বর্মন। ঘটনার তদন্তে জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।
উল্লেখ্য গত ১৬ জুলাই বামনগোলা থানার মদনাবতী গ্রামে বিজেপি কর্মী বুরান মুর্মুর মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের ঘরের মধ্যে থেকে। বিজেপি অভিযোগ করে তৃণমূল এই খুন করেছে। ১৭ জুলাই বিজেপি বামনগোলা থানার নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়িতে তান্ডব চালিয়ে ভাঙ্গচুর করে। পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে বেশ কিছু মহিলা সহ পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। উল্লেখ্য যেদুই মহিলাকে পাকুয়াহাটে গনধোলাই দেওয়া হয় তারা নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙ্গচুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। এদিকে যে পাঁচ জনকে পুলিশ আঁটক করেছে তাঁরা সকলেই বিজেপির সমর্থক বলে জানতে পারা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Mongolkote Incident | জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
তৃণমূলের অভিযোগ একটি স্থানীয় চুরির ঘটনাকে রাজনীতির রূপ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি শিবিরের দাবি, প্রথমে হাওড়ার পাঁচলা, তারপর মালদার বামগোলা এই দুই জায়গার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। তা থেকে পরিষ্কার এই রাজ্যে মহিলাদের উপর কীরকম অত্যাচার হয়। সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাট মালদার ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি বিজেপি সাংসদের লোকসভা কেন্দ্র। সাংবাদিক সম্মেলনে ঘটনার নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনায় প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে একটি হল বাংলা। এই ঘটনায় বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটে লিখেছেন, মালদায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনার সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, দুই মহিলাকে যাঁরা ধরে তাঁরাও মহিলা পুলিশ কর্মী। তাঁদের গ্রেফতার করার সময় ধস্তাধস্তি হয়। বেচারারা সবাই গরিব। ধস্তাধস্তিতে কাপড় সরে যায়। এই ঘটনাকে রাজনীতির চশমায় কেন দেখা হচ্ছে? শশীর ওই বক্তব্য নিয়ে নিয়ে সমালোচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেছেন, মহিলা নিরাপত্তার মতো বিষয়ে যেখানে প্রশ্ন উঠছে তা লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। মন্ত্রী শশী পাঁজা অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন।