পেশোয়ার: সোমবার পাকিস্তানের (Pakisthan) মসজিদ (Mosque) বিস্ফোরণে (Blast) মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯৩ ছুঁয়েছে । ২৩০ জন্যেও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। পেশোয়ার (Peshawar) একটি হাসপাতালে ইতিমধ্যে তাদের চিকিৎসা চলছে। নিহতদের মধ্যে ২৭ জন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম আফগানিস্তানের (Afganisthan) সীমান্তের কাছাকাছি পেশোয়ার একটি মসজিতে প্রার্থনা চলাকালীন আত্মঘাতী বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হয় পাকিস্তান। সেখানকার স্থানীয় সময় তখন দুপুর দেড়টা। ৩০০ জনের বেশি মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রার্থনা করছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গি। পরে পুলিশ সূত্রে খবর এটা আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ছিল। হামলাকারীরা ব্যারিকেড পেরিয়ে মসজিদ চত্বরে পৌঁছে ছিল।
মসজিদের ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকেপড়াদের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। তবে এই ঘটনার পর ওই চত্বরে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য মসজিদ গুলিতেও করা নিরাপত্তা বন্টনের মধ্যে রাখা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে পেশোয়ার পুলিশ কমিশনার রিয়াজ খান বলেন,’ বিস্ফোরণের সময় মসজিদে প্রার্থনা চলছিল। প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিস্ফোরণটি ঘটার পরেই সেখানে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, দমকল, বিপর্যয় বাহিনী এসে উপস্থিত হয়। বর্তমানে পাকিস্তান যে পরিমান অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছেন তাতে এই ঘটনা আরও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেদেশের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ এরপরও সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা না নেওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে। এছাড়াও এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণে জড়িতদের কঠোর সাজা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত চিকিৎসারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও । তিনি লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদীদের মোকাবিলায় দেশের গোয়েন্দা, নিরাপত্তা ও পুলিস বাহিনীকে শক্তিশালী করার সময় এসেছে।’