কলকাতা: নন্দীগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা মিছিল করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর ঘোষণা, তাঁর মিছিল হবে ১৬ জুন। তিনি বলেন, লোক কত হবে, সেদিন দেখে নেবেন ভাইপো। এদিন চণ্ডীপুর থেকে ১৯ কিমি পথ হেঁটে অভিষেক নন্দীগ্রামে পৌঁছন। মিছিলে লোক সমাগম ছিল ভালোই। মিছিল শুরুর আগে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, এতটা পথ শুভেন্দু হেঁটে দেখান। শুভেন্দুর অভিযোগ, বাইরে থেকে, এমনকী কলকাতা থেকেও লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তৃণমূল অবশ্য শুভেন্দুর অভিযোগকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অভিষেক যখন চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রামের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তখন শুভেন্দু ছিলেন গড় শালবনিতে কুড়মি সমাজের ধৃত কুড়মি নেতাদের বাড়িতে। অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃত তিন কুড়মি নেতার পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করেন শুভেন্দু। তিনি গিয়েছিলেন মনমোহিত মাহাত, অনিত মাহাত এবং অজিত মাহাতর বাড়িতে। তিনি পরিবারগুলির পাশে থাকার এবং আইনি সহায়তা দেওয়ার সমস্ত আশ্বাস দেন। বিরোধী নেতা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
পরে শুভেন্দু বলেন, কলকাতার বড়লোকেরা জঙ্গলমহলের গরিব মানুষের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। ২০০৯ সালেও জনসাধারণের কমিটি এবং মাওবাদীদের নাম দিয়ে গরিব মানুষের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল। আমরা কুড়মি সমাজের পাশে আছি।
আরও পড়ুন: RG Kar Hospital | আরজি করে চিকিৎসকের শ্লীলতাহানি, জল গড়াল হাইকোর্টে
গত ২৬ মে ঝাড়গ্রাম লোধাশুলি রাস্তার মাঝে গড় শালবনিতে অভিষেকের কনভয়ে হামলা চালায় কুড়মি সমাজ। অভিষেকের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর পিছনের বেশ কিছু গাড়ি আক্রান্ত হয়। হামলা হয় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি। তার কাচ গিয়ে লাগে মন্ত্রীর গাড়িচালকের চোখে। তিনি গুরুতর জখম হন। ওইব ঘটনায় পুলিশ কুড়মি সমাজের দশ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। পরের দিন শালবনিতে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কুড়মিরা এ কাজ করেছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। এটা বিজেপির কাজ। কুড়মিরা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত নয় বলে মুখ্যমন্ত্রী জানালেও পুলিশ কুড়মি সমাজের লোকদেরই গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।