নয়াদিল্লি: নতুন করে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস জারি করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) সময় শ্রীনগরে (Srinagar) দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা মন্তব্য করেছিলেন, মহিলারা এখনও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগেই রাহুলকে নোটিস জারি করেছিল রাজধানীর পুলিশ। রাহুলের মন্তব্যের সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ চেয়েছিল তারা, যাতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। রবিবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস নেতার বাসভবনে গিয়ে এই বিষয়েই নতুন নোটিস দিয়ে এল পুলিশ।
বিশেষ পুলিশ কমিশনার (আইন শৃঙ্খলা) সাগরপ্রীত হুডা (Sagar Preet Hooda) জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী বলেছেন, পুলিশ যে তথ্য চেয়েছে তা দিতে তাঁর কিছু সময় চাই। কমিশনারের কথায়, আমরা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। তিনি বলেছেন, তাঁর কিছু সময় লাগবে এবং আমরা যে তথ্য চেয়েছি তা তিনি দেবেন। আজ আমরা একটি নোটিস দিয়েছি যা তাঁর অফিস গ্রহণ করেছে, এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হল আমরা তা করব।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | তৃণমূল ভাঙার চক্রান্ত করছে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম: মমতা
কমিশনার আরও বলেন, রাহুল গান্ধী বলেছেন, ওটা এক দীর্ঘ যাত্রা (ভারত জোড়ো যাত্রা) ছিল, তিনি বহু মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সমস্ত তথ্য এক জায়গায় করতে তাঁর সময় লাগবে। তিনি শীঘ্রই তথ্য দেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং আমরা তা পেলেই কাজ শুরু করব। এদিন হুডার নেতৃত্বে পুলিশ দল তুঘলক লেনে রাহুলের বাসভবনে দুপুর ১২টা নাগাদ হাজির হয়। সেখানে ২ ঘণ্টা ছিল তারা। পরে একটি গাড়িতে চেপে বেরিয়ে যান রাহুল।
এদিকে রাহুল গান্ধীকে দিল্লি পুলিশের নোটিস পাঠানো নিয়ে বিজেপিকে এদিন একহাত নিলেন অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (AICC) সেক্রেটারি কে সি বেণুগোপাল (KC Venugopal)। তাঁর মতে, আদানি ইস্যু (Adani Issue) থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই রাহুলকে এই নোটিস পাঠানো। বেণুগোপাল বলেন, প্রথম দিনই মোদি এবং আদানির যোগাযোগের প্রমাণ দিয়ে আদানি ইস্যুর উত্থাপন করেন রাহুল। বিজেপি তাঁকে হেনস্তা করা শুরু করেছে এবং ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। ওরা জানে না রাহুল গান্ধী বিজেপিকে ভয় পান না। ওদের রাহুলের তোলা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Cambridge University) করা মন্তব্য নিয়ে রাহুল গান্ধীর উপর খড়্গহস্ত হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন। বিজেপির দাবি, বিদেশে গিয়ে দেশের গণতন্ত্র এবং সংসদের অপমান করেছেন রাহুল। ইতিমধ্যেই লোকসভায় তাঁর সদস্যপদ খারিক করতে স্পিকার ওম বিড়লার (Om Birla) দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। এর জন্য কমিটি গড়ার আবেদন জানিয়েছে তারা। পাল্টা কংগ্রেস জানিয়েছে, ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। রাহুল গান্ধী ভুল কিছু বলেননি।