কলকাতা: পুজোর পরেই রাজ্যে স্কুল খোলার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্কুলগুলির হাল হকিকত খোঁজ নিল নবান্ন। প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজ্যের কোন স্কুলের ক্লাস ঘরের অবস্থা কেমন রয়েছে তা জানতেই সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় দু’বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ রয়েছে। অনলাইন ক্লাস থেকে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও বড়সড় রদবদল করা হয়েছে। কিন্তু ক্লাসরুমে সঙ্গে পড়ুয়াদের দূরত্ব তৈরি হওয়া, বাড়িতে শিক্ষা গ্রহণের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকা, দরিদ্র পরিবারগুলি পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ না করা ইত্যাদি বিষয় গুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, অভিভাবক থেকে শিক্ষক, পড়ুয়ারা দ্রুত স্কুল খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন। দাবিও জানাচ্ছেন। ইত্যাদি বিষয় গুলি খতিয়ে দেখেই দুর্গা পুজোর পরেই স্কুল খোলার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।
শিক্ষা দফতরের অর্ডার।
আরও পড়ুন-স্কুল খোলার শর্ত বাচ্চাদের ভ্যাকসিন নয়, শিক্ষক-অভিভাবকদের টিকা বেশি জরুরি: কেন্দ্র
সূত্রের খবর, এদিনের নির্দেশিকায় ক্লাস রুমের হালহকিকত স্কুলগুলিকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ডিআই-এর কাছে জানানোর নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের। এইমর্মে জেলাশাসকদের কাছে চিঠি দিয়েছে দফতর। জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি দেখা যায় স্কুল ভবন, ক্লাসরুম, রান্নাঘর, শৌচাগার, পানীয় জল ও বিদ্যুতের সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তখন শিক্ষা দফতর প্রয়োজনীয় অর্থ সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে পাঠিয়ে দেবে। দ্রুত কাজটি সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে পুজোর পরেই স্কুল খুলবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন। সেদিকে তাকিয়ে স্কুল সংস্কার ও পরিচ্ছন্নতার কাজ আগেভাগে সেরে রাখতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর।