কলকাতা: আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার (Kolkata) ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে (Brigade Parade Ground) ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ (Gita Recitation) অনুষ্ঠানে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজেপি (BJP) সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
দিল্লি থেকে এই খবর আসতেই জরুরি বৈঠকে বসেছে রাজ্য বিজেপি। ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের ঠিক আগে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধির বার্তা বলে দাবি বামেদের।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আইটি
অনেকেই মনে করছেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরদিন আজ, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক আছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে বাংলার দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন মমতা। ঠিক তার আগে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূল রাজ্যে আসতে চাইছেন না বিজেপি নেতা। এছাড়াও সেদিন টেট পরীক্ষা থাকায় প্রধানমন্ত্রী এলে পুলিশ-প্রশাসন তা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সবদিক বিচার করেই সম্ভবত না আসার এই সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিধাননগরে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে সুকান্তবাবু ছাড়াও হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও আয়োজক সংস্থার সাধুসন্তরা। তখনই জানা যায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন না। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ওই দিন উত্তরপ্রদেশে একটি সভা থাকায় কলকাতায় আসতে পারবেন না তিনি।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী না এলে অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত বৈঠক করে পরিস্থিতি মোকাবিলার রণনীতি ঠিক করতে বসেছেন বিজেপি নেতারা। বোঝানো হচ্ছে আয়োজক সংস্থার সদস্যদেরও। তবে প্রধানমন্ত্রী না আসায় অনুষ্ঠানে জৌলুস যে অনেকটা কমে যেতে চলেছে বলা বাহুল্য।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে মোদি আসছেন ধরে নিয়েই প্রচার করছিলেন উদ্যোক্তারা। পোস্টার ব্যানারে ছিল প্রধানমন্ত্রীর ছবি। দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আগেই আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন সাধুসন্তরা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতিকেও। মঙ্গলবার তাঁর না আসার খবর পৌঁছতেই মাথায় বাজ পড়ে রাজ্য বিজেপির।
প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে যে কিছু গোলমাল হয়েছে তা টের পাওয়া যায় মঙ্গলবার দিল্লি থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফিরে আসায়। লোকসভার অধিবেশনে দিতে সোমবার সন্ধ্যাতেই দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। গোটা সপ্তাহের অধিবেশনে হাজির থেকে শুক্রবার ফেরার কথা ছিল তাঁর। সেই সুকান্তবাবু সোমবার গিয়ে মঙ্গলবারই ফিরে আসায় গোলমাল কিছু একটা হয়েছে তা আন্দাজ করেন অনেকে।
অন্য খবর দেখুন