কলকাতা: ব্যারাকপুরে ডাকাতির ঘটনার ৪৩ ঘন্টা পর অবশেষে পুলিশের জালে দুই। প্রথমে তিন জনকে আটক করা হয়েছিল, তারপর তাদের মধ্যে থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রহড়া থানায় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে সাকিল খান। বীরভূমের মুরারই থেকে গ্রেফতার করা হয় জামশেদ আনসারিকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি মোটর বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত সানি কামারহাটি অঞ্চলের বাসিন্দা।
এদিকে আনন্দপুরীতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে স্বর্ণব্যবসায়ীর খুন হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে শাসকদল অস্বস্তিতে পড়েছে। দলের নেতাদের পরস্পরবিরোধী কথাবার্তায় সেই অস্বস্তি ধরা পড়েছে। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। শুক্রবার তিনি বলেন, অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। সাধারণ মানুষ যেখানে নিরাপত্তা পাচ্ছেন না, সেখানে আমার পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে লজ্জা করছে। তাঁর আরও দাবি,অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছে।
আরও পড়ুন: Storm Effect | বাঁকুড়ায় ঝড়ে উড়ে গেল ঘরের চাল
অর্জুন যখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার, তখন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ব্যারাকপুরে অধিকাংশ চটকল বন্ধ। সেই সব কারখানার কর্মীদের একাংশ নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস আবার পুলিশকে সার্টিফিকেট দিয়ে দাবি করেন, তারা ভালোই কাজ করছে। ইতিমধ্যে দুজন ধরা পড়েছে, বাকি অপরাধীরাও শীঘ্রই ধরা পড়বে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারাও একই দাবি করেন।
এদিকে, অর্জুনের বক্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টচার্য বলেন, ওই সাংসদ যদি এতোই লজ্জা পান তাহলে দল ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েছিলেন কেন? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, অর্জুন সিংই তো ব্যারাকপুরে দুষ্কৃতীদের মদত দেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এখন হঠাৎ তিনি সাধু হয়ে গেলেন? সুজন আরও বলেন, ব্যারাকপুরে গত কয়েক বছরে একাধিক বার পুলিশ কমিশনার বদল হয়েছে। কিন্তু তাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও উন্নতি ঘটেনি,বরং অবনতি ঘটেছে। পুলিশশাসক দলের দলদাস হয়ে পড়াতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি।