কলকাতা: শুক্রবার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল রাতেই প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন ওড়িশায়। এবার তিনি যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে। শনিবার সকাল ১১টার পর ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে হেলিকপ্টারে করে আকাশপথে ওড়িশার বালেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবারের দুর্ঘটনায় টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার পাশে আছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশে মানস ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটা টিম দুর্ঘটনাস্থলে যান। একইসঙ্গে ০৩৩২২১৪৩৫২৬, ২২৫৩৫১৮৫ এই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। ওড়িশার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান মমতা।
এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮। পাশাপাশি ক্রমশ বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফে জানা যাচ্ছে, এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী আটকে রয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনি ট্রেনের দরজা ভেঙে ও গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী। কথা বলেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গেও। কীভাবে এমন বিপর্যয়, তার জন্য রেলের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, এটি বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রেল, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং ওড়িশা সরকার জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হবে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে কলকাতা ও কটকে চিকিৎসা করাবে রেল। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্তের পর এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।