কলকাতা: বিজেপির মতো সাম্প্রতিক শক্তিকে রুখতে শুধু তৃণমূল কেন, অন্যান্য বিরোধী দলগুলির পাশে থাকবে সিপিএম। দিন কয়েক আগে এ কথা বলেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। শুক্রবার ১৯ বিরোধী দলের বৈঠকে যোগ দিয়ে সেই বার্তা আরও জোরদার করল সিপিএম। সনিয়ার ডাকা বৈঠকে একই ফ্রেমে (ভার্চুয়াল) ধরা পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)।
‘বিজেপিকে হারাতে কেউই অচ্ছুৎ নয়’। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এই মন্তব্য করেছিলেন। শুক্রবারের বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন তা জানাই ছিল। তবে প্রশ্ন উঠছে বাংলায় যেখানে সিপিএম-তৃণমূল সাপে-নেউলে সম্পর্ক, সেখানে কেন্দ্রে তৃণমূলের পাশে থাকলে দলের নীচু স্তরে ভুল বার্তা পৌঁছবে না তো?
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের পরেই সম্ভবত মধুচন্দ্রিমা শেষ, রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট ‘বিশ বাঁও জলে’
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে সরাতে, বিজেপি বিরোধিতায় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ফের একবার একজোট হওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবারের বৈঠকেও তাঁর বক্তব্য, ‘সমস্ত বিরোধী দলকে এক করতে হবে৷ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে৷ এমনকী মিটিংয়ে যারা নেই বা যেসব দলকে ডাকা হয়নি, কংগ্রেসের উচিত তাদেরকেও ডাকা৷
প্রায় সকল বিরোধীদের এ দিন এক মঞ্চে হাজির করেন সনিয়া। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও ডিএমকে, এনসিপি, শিবসেনা, সিপিআই, সিপিএম, আরজেডি-সহ ১৯টি দলের প্রতিনিধিরা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেয়। ভার্চুয়াল বৈঠকে দেখা যায়নি সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির কোনও প্রতিনিধিকে৷ আম আদমি পার্টিকে আবার এ দিনের বৈঠকে ডাকা হয়নি৷
আরও পড়ুন: সিপিএম সংযুক্ত মোর্চার মালিক নয়, চাইলে বেরিয়ে যাক: নওশাদ
মোদি সরকারের বিরোধিতায় এক মঞ্চে থাকলেও রাজ্যে তৃণমূল নিয়ে কী অবস্থান নেবে সিপিএম, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, জাতীয় স্তরে জোট হলেও রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর কী ভাবে সিপিএম ঘুরে দাঁড়াবে, তাই এখন চিন্তা আলিমুদ্দিনের।
এদিকে সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে জট অব্যাহত। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সিপিএম চাইলে মোর্চা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। নওসাদের কটাক্ষ, ‘এখন সিপিএম উল্টো পথে হাঁটছে। যারা শাসকদলের চাটুকারিতা করছে, তাদের নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা চলতে পারে না। সিপিএম সংযুক্ত মোর্চার মালিক নয়। যার ইচ্ছে চলে যাক।’